আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেত্রকোনার কুখ্যাত রাজাকার খলিলুর রহমান গ্রেপ্তার এড়াতে ঘন ঘন বাসা পরিবর্তন করতেন। এমনকি আত্মগোপনে থাকতে মোবাইল ফোনও ব্যবহার করতেন না তিনি।মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ১৩ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রায় হওয়ার পর ৬৮ বছর বয়সী খলিল সাভারে গিয়ে আশ্রয় নেন। র্যাব-১৪ ও সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা মঙ্গলবার রাতে সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন,মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই খলিলুর পালিয়ে রাজধানীর দক্ষিণখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেন। এ সময় গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি নিয়মিত বাসা পরিবর্তন করতেন এবং একা থাকতেন।
তিনি বলেন, খলিলুর আত্মগোপনে থাকাকালে মোবাইল ফোন ব্যবহার করত না। তবে মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যরা গোপনে তার সঙ্গে দেখা করত এবং খলিলের ছেলে-মেয়েরা তার প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণের জন্য নিয়মিত তাঁকে টাকা পাঠাত।
কমান্ডার মঈন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে মামলার তদন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই সে (খলিল) পলাতক ছিল। ২০১৭ সালে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে গৃহীত হলে সে আত্মগোপনে চলে যায় এবং রাজধানীর দক্ষিনখান, তুরাগ ও উত্তরার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নোয়াগাঁও এলাকার খলিলুর রহমান ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য।মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি আল-বদর বাহিনীতে যোগ দেন। চণ্ডিগড় ইউনিয়নে আল-বদর বাহিনীর কমান্ডারও হন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দার বিভিন্ন এলাকায় ২২ জনকে হত্যা, এক নারীকে ধর্ষণসহ তার বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ ছিল।এ মামলায় খলিলসহ আসামি ছিলেন পাঁচজন। বিচার শুরুর আগে একজন ও পরে তিন আসামির মৃত্যু হয়।গত ১৩ সেপ্টেম্বর খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ
গুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।
