Bangla News

এ কেমন ফারহান!

বিনোদন ডেস্ক : তরুণ অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। নানান চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপনার চেষ্টা জারি রেখেছেন বহু দিন ধরে। কখনও সুইপার, কখনও লেগুনা চালক আবার কখনও পোস্টম্যানের ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকের ভালোবাসা কুড়াচ্ছেন।

সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় নাট্য-নির্মাতা মাবরুর রশিদ বান্নাহ্ এর নতুন নাটক ‘আক্ষেপ’ এর প্রথম লুক। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মুশফিক আর ফারহার।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রীতিমতো লাইক, কমেন্ট ও শেয়ারের ঝড় উঠেছে। কমেন্ট শুধুই প্রশংসার বাক্য নাটকটি নিয়ে, এ থেকে বোঝায় যাচ্ছে ঈদে নাটকটি দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন দর্শকেরা। এতে বিশেষ করে ফারহানের লুকের পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বেশি। বলতে গেলে নাটকে লুকে ফারহানকে চেনা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে নির্মাতা বলেন, এ গল্পটা নিয়ে ৪ বছর ধরেই কাজ করবো করবো করে করা হচ্ছিল না। ফাইনালি এই গল্পটা যখন আমি ফারহানের সঙ্গে শেয়ার করলাম তখন সে আমাকে পরামর্শ দিলো যেন ঈদের জন্য করি। এরপর পরিকল্পনা করে কাজটা শুরু করি। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন জি সিরিজের খালেদ ভাই। তার সাপোর্ট ছাড়া কাজটি সুন্দর ভাবে শেষ করতে পারতাম না। কাজটা করেছি মানিকগঞ্জের পদ্মার চরে। প্রচণ্ড গরমে চরের মধ্যে কাজটা করা খুবই চ্যালেজিং ছিল। ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যে আমরা কাজটা সম্পূর্ণ করেছি। এ জন্য সবাই খুবই পরিশ্রম করেছে। আমার এই গল্পে মুশফিক আর ফারহান ছাড়াও অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি, ফজলুর রহমান বাবু, মোমেনা চৌধুরীর, শোয়েব মনির, শাহীন মৃধা, রাশেদ ইমরান, মামুনসহ আরও অনেকেই। প্রথম লুক প্রকাশ করে অনেক সাড়া পেয়েছি। আশা করি এত কষ্ট হয়তো সার্থক হবে। বাকিটা আল্লাহ ভরসা।

নাটকটি নিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি চেষ্টা করেছে মানুষের হৃদয় ছোঁয়ার জন্য। পুরো টিম কাজটির জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতে চাই আমার ডিওপি রাজু রাজ, আর্ট টিম, এসিস্ট্যান্ট’সহ নাটকটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলে। একজন প্রতিবন্ধী ছেলে ও তার বাবাকে নিয়েই নাটকের মূল গল্প। এখানে অনেকেই ফারহানকে চিনতে পারছেন না আর আমরা এই কাজটি করতে চাচ্ছিলাম। নাটকটি ঈদের পরপরই জি-সিরিজের ইউটিউবে মুক্তি পাবে।

সবশেষে বান্নাহ্ বলেন, করোনার সময় আমার জীবনে একটা বড় ধাক্কা খেয়েছিলাম। নির্মাণ কাজ শুরু করার পরপরই ইচ্ছে ছিল বড়পর্দায় কাজ করার সেই অনুযায়ী সবকিছু রেডিও করেছিলাম কিন্তু করোনার জন্য সিনেমা নির্মাণ করতে পারিনি। এরপর আম্মার ক্যান্সারে আক্রান্ত হোন। বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।সেই জন্য অনেকটাই কাজ থেকে দুরে ছিলাম। সবকিছু কাটিয়ে উঠে এখন কাজের জন্য প্রস্তুত। শিগগিরই সিনেমা এবং ওটিটি প্লাটফর্ম কাজ শুরু করব। তাই এই কাজটির মাধ্যমে ফার্স্ট রান দিলাম বলতে পারেন। এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করার কারণ হচ্ছে নিজেকে ভাঙা এবং দর্শকে নতুন করে চেনানো। এক রকম কাজ করে টিকে থাকা যায় না। নির্মাতা হিসেবে সময়ের সঙ্গে নিজেকে পরিবর্তন করাটা জরুরি। আমিও তেমনটিই করার চেষ্টা করছি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে যে কাজগুলো করেছি আর এখন, যে কাজগুলো করছি দেখলেই বুঝতে পারছেন পার্থক্যটা।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button