ভিন্ন স্বাদের খবর

আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতারা কেন্দ্রীয় নেতাদের কথা কর্ণপাত করছে না

চট্টগ্রামে বিএনপির আজকের সমাবেশে কোন বাধা দেবেন না বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের তিন ইউনিটের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন, নৈরাজ্য না করলে বিএনপির এই মহাসমাবেশে কোন ধরনের ঝামেলা করা হবে না।

তবে শীর্ষ নেতাদের এই কথা যেন কর্ণপাত করছে না দলটির নেতারা। বিভিন্ন জায়গা থেকে শহরে প্রবেশমুখী গাড়িতে তল্লাশি ও হামলা করেছে। এরমধ্যে  ঢাকা চট্টগ্রাম সমাবেশমুখী গাড়ি বহরে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের হামলায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে চট্টগ্রাম শহরের ভেতর এরকম কোন ঘটনার সংবাদ পাওয়া যায়নি।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহবায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বারইয়ারহাটে আমাদের ৪ জন নেতাসহ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হামলায় অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।এছাড়া গত মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরকারি দলের লোকজন মহড়া দিচ্ছে। উপজেলার সমস্ত বাস, মাইক্রো, হাইসের মালিক ও চালকদের বিএনপির ভাড়া না ধরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মোহাম্মদ ফারুক নামে এক গণমাধ্যম কর্মী বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার নতুন ব্রিজ এলাকায় প্রত্যেকটা গাড়ি তল্লাশি ও বিএনপির সমাবেশে আসা গাড়ি আটকে দিচ্ছে পুলিশ এবং সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে ব্যাপক হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ।

জানা যায়, আজ ভোর থেকে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে  মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মহড়া দিতে থাকে। এসময় বিভিন্ন গাড়িতে তারা তল্লাশি চালাতে থাকে। এরমধ্যে মিরসরাইয়ে হামলায় ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা যায়।

আহতদের মধ্যে বারইয়ারহাট পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র ও পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. জসীম উদ্দিন, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কাজী ছালেহ আহম্মদ, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সেলিম হাজারীও  রয়েছেন।এসময় বিএনপি নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে ব্যারিকেড সৃষ্টির সময় গাড়িচাপায় এক ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ একটি বাস আটক করেছে।

পটিয়া উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, আজ সকাল ১০টার পর থেকে পটিয়ার ইন্দ্রোপুল, গিরিশ চৌধুরী বাজার এলাকার বাইপাস সড়কে ও নতুন ব্রিজ এলাকায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে পটিয়াসহ দক্ষিণের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে সমাবেশে যাওয়ার পথে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে নামিয়ে দেয় পুলিশ।

যাঁদের যেখানে নামিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা সেখান থেকে হেঁটে আবার সমাবেশে পথে রওনা হন। হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, সমাবেশে যাওয়ার জন্য উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েক দিন আগে পটিয়া থেকে শতাধিক বাস রিজার্ভ করা হয়।

কিন্তু পুলিশ ও সরকারি দলের বিভিন্ন ভয়ভীতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার গাড়ির চালকেরা টাকা ফেরত দিয়ে সমাবেশে যেতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে তাঁরা বিকল্প হিসেবে ট্রাক ও মিনিবাস ভাড়া করে সমাবেশে যাচ্ছিলেন।দুই দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় রাতে তাঁদের বিভিন্ন নেতা-কর্মীর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button