প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে হত্যা
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় প্রতিবন্ধী শিশু পপি সরকার (১২) হত্যা মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে। পুলিশ বলছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের প্রতিবন্ধী মেয়েকে হত্যা করেন বাবা দিগেন্দ্র সরকার নিজে। শনিবার মৌলভীবাজার আদালতে এ বিষয়ে ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন দিগেন্দ্র।
রবিবার দুপুরে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুছ ছালেক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে কুলাউড়া থানার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের কামাল মাস্টারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া হবিগঞ্জ জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার গুমগুমিয়া গ্রামের দিগিন্দ নম (৩৫) এর প্রতিবন্ধি মেয়ে পপি সরকার (১২) এর লাশ ভাড়াটিয়া বসত ঘরের পাশে গলায় ওড়না দিয়ে গিট দেওয়া অবস্থায় পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পপির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন। পরে ওইদিন পপির পিতা নিজেই বাদী হয়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী সুরমান মিয়া ও কাজল মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশের একটি চৌকস টিম মামলার রহস্য উদঘাটনে মাঠে কাজ শুরু করে। তদন্তের একপর্যায়ে বিস্কুটের একটি প্যাকেটের সূত্র ধরে পপি সরকারের আসল খুনী তার বাবাকে সনাক্ত সক্ষম হয় পুলিশ।
পিতা-ই যে খুনী যেভাবে ধরা পরলঃ “তদন্তের একপর্যায়ে মৃত পপি সরকারের বসত ঘরের দক্ষিণ পার্শ্বে জানালার সামনে বারান্দায় ঝুলানো মঞ্জিল মায়া সল্ট’ নামক একটি বিস্কুটের প্যাকেট উদ্ধার করে তদন্তকারী দল।