হাইতিতে ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ৩০৪, আহত ১৮০০

তীব্র শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে হাইতি। ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের এই দেশটিতে কমপক্ষে ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৮০০ মানুষ।

শনিবার সকালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে এ ঘটনা ঘটে। এতে আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ধর্মীয় উপাসনালয় ও হোটেল রয়েছে।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে পাশের শহর জেরেমিতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও একটি চার্চের ধ্বংসস্তুপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোটাছুটি করছেন আতঙ্কিত মানুষজন।

বার্তাসংস্থা এএফপি’কে ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে হাইতির এক বাসিন্দা জানান, বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি এই ভূমিকম্পকে ‘ব্যাপক ক্ষতি’ বলে আখ্যায়িত করে এক মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন।

এদিকে হাইতির সিভিল প্রটেকশন সার্ভিস জানিয়েছে, ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ৩০৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অনেক মানুষ নিখোঁজ থাকায় নিহতের এ সংখ্যা বাড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, হাইতির সেন্ট লুইস দু সুদ শহরের ১২ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এ জায়গাটি রাজধানী পোর্ট–অ–প্রিন্স থেকে ১২৫ কিলোমিটার পশ্চিমে। পোর্ট–অ–প্রিন্সেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

এদিকে ভূমিকম্পের পরপরই হাইতির প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সামান্থা পাওয়ারকে হাইতিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালের শক্তিশালী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। ওই ভূমিকম্পে দুই লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। দেশটির অবকাঠামো ও অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ে।

Exit mobile version