পরীমণির ডান হাতের তালুতে “ডোন্ট লাভ মি বিচ”

তিন দফায় ৭ দিনের রিমান্ড এবং ১৯ দিন কারাভোগের পর আজ বুধবার (১সেপ্টেম্বর)সকাল ৯ টা ৩২ মিনিটে মুক্ত হয়েছেন আলোচিত চিএনায়িকা পরীমণি। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর কারা ফটকের সামনে এসে ভক্ত এবং গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য হাত নাড়েন হাস্যজ্জল পরীমণি।

এ সময় তার ডান হাতের তালুতে লিখা ছিল ডোন্ট লাভ মি বিচ। সাদা রংয়ের নিশান এক্সটাইল গাড়িতে চড়ে জেল গেটে এসে সান রুফ খুলে দাঁড়িয়ে পড়েন পরীমণি। তার পরণে ছিল সাদা রংয়ের টি শার্ট এবং চোখে সান গ্লাস এবং মাথায় ছিল সাদা ওড়না মোড়ানো। এসময় হাসিমুখে সকলের উদ্দেশ্য বার বার  হাত নাড়েন। তবে গণম্যাধ্যমের সাথে কোন কথা বলেননি পরী।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন আদেশ দেন। তিন কারণ বিবেচনায় পরীমণিকে জামিন দেওয়া হয়েছে। যেহেতু পরীমণি একজন চিত্রনায়িকা এবং একজন নারী। তাছাড়া সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত প্রীতিলতা নামক একটি চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ের শিডিউল চলছে। এসব বিষয় বিবেচনায় তদন্ত প্রতিবেদন (চার্জশিট) দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন আদালত। তবে জামিন আদেশের কাগজ গতকাল নির্ধারিত সময়ে কারাগারে না পৌঁছানোর কারণে গতকাল মুক্তিপাননি পরীমনি।

গত ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।

মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারা সূত্র জানায়, পরীমণিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে (রজনীগন্ধা ভবন) রাখা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব। ৫ আগস্ট র‍্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

Exit mobile version