ভিন্ন স্বাদের খবর

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ১৫ দিন ধরে ফেরি বন্ধ, নেই ব্যস্ততাও

১৫ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল। ফেরি বন্ধ থাকায় কর্মব্যস্ত শিমুলিয়া ও বাংলাবাজার ফেরিঘাটে নেই আগের মতো ব্যস্ততা। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ২৩ জেলার যোগাযোগের অন্যতম এই নৌরুট যানবাহন এবং যাত্রীদের পদচারণায় মুখর থাকতো ২৪ ঘণ্টা। এর মধ্যে বাংলাবাজার ফেরির জন্যই রয়েছে আলাদা আলাদা করে ৪টি ঘাট, রো রো, ডাম্প, কেটাইপ ও ভিআইপি ফেরি, চারটি ঘাট থেকেই সব সময় পারাপার করা হয় যানবাহন।

গত ১৮ আগস্ট দুপুর থেকে পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় বন্ধ রাখাহয় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চলাচল। ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর থেকেই ঘাটে ব্যস্ততা কমে গেছে যাত্রীদের। লঞ্চ চালু থাকায় শুধুমাত্র লঞ্চঘাটে যাত্রীদের দেখা গেলেও পুরো ঘাট এলাকায় কমে গেছে যাত্রীদের কোলাহল, যানবাহনের ভিড়। সব মিলিয়ে আগের সেই ব্যস্ততা নেই ঘাটে।

জানা গেছে, দিনরাত হাজারো মানুষের কোলাহলে মুখর থাকতো এই নৌরুট। লঞ্চ, ফেরির সাইরেন, স্পিডবোটের শব্দ, গাড়ির হর্ণে ঘাট এলাকা থাকতো কোলাহল পূর্ণ। প্রায় তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে স্পিডবোট, গত ১৪ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। চিরচেনা নিত্যদিনের কোলাহলে পূর্ণ বাংলাবাজার ঘাটটি শান্ত হয়ে আসছে ধীরে ধীরে। চারটি ফেরিঘাট ঘিরে গড়ে ওঠা খাবার হোটেল, চায়ের দোকানে ক্রেতা নেই এখন। থেমে গেছে টার্মিনালে যাত্রীদের পদশব্দ, হকারদের হাঁকডাক আর দোকানিদের ব্যস্ততা। বিআইডব্লিউটিসির দেয়া তথ্য বলছে নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট আর ১৭ টি ফেরি চলাচল করতো।

সর্বশেষ গেল প্রায় ৩ মাস নৌরুটের শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়া বাংলাবাজার এলাকায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ যাত্রীর মৃত্যুর পর গত তিন মাস ধরে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে নৌরুটে। পদ্মায় স্রোতের তীব্রতা থাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে গত ১৮ আগস্ট থেকে সব ফেরিও বন্ধ।

এদিকে সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত লঞ্চ চলছে শুধু।

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হওয়ার পর এ নৌরুটে যাত্রীদের চাপ কমে গেছে। আগের মতো যাত্রীদের চাপে কোলাহল মুখর নেই ঘাট এলাকা।

ফেরিঘাটের খাবার হোটেলের কর্মচারীরা জানান, ফেরি বন্ধ হওয়ার পর চার/পাঁচদিন হোটেল চালু ছিল। কিন্তু কাস্টমার নাই। এই ঘাটে ফেরি চালু হওয়ার সম্ভবনা না থাকায় মালিক হোটেল পুরোপুরিই বন্ধ করে দিছে।

বাংলাবাজার তিন নম্বর ফেরিঘাটের চায়ের দোকানিরা বলেন,’ঘাট বন্ধ। কেউ আসে না ঘাটে। ব্যবসায়ও বন্ধ। লঞ্চঘাট দূরে থাকায় এদিকে লঞ্চের যাত্রীদের আসার প্রশ্নই উঠে না। দোকান বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় নাই। লঞ্চঘাটে কোনো ব্যবস্থা করা যায় কি না ভাবছি।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে গত প্রায় ১৪ দিন ধরেই ফেরি বন্ধ। বিকল্প হিসেবে মাঝিকান্দি ঘাট তৈরি করা হচ্ছে। এই রুটে ফেরি চলার সম্ভবনা আপাতত নেই।

বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন স্পিডবোট ও ফেরি বন্ধ থাকলেও নৌরুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে দিনের বেলা সকাল সাড়ে ৬টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা লঞ্চ সার্ভিস চালু থাকছে। পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় সন্ধ্যার পর লঞ্চ বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button