রাশিয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা বাহিনী উচ্চ সতর্কতায়

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ব্যাপারে অবন্ধুত্বসুলভ পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে তাঁর দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় রাখতে প্রতিরক্ষা প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। খবর এএফপির।

আজ রোববার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে এমন নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, রাশিয়ার সেনাবাহিনীর পারমাণবিক অস্ত্রের দায়িত্বে থাকা দলকে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতিতে রাখার জন্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

পারমাণবিক শক্তিধর দেশগুলোর মধ্যে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যার দিক দিয়ে রাশিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়। এ ছাড়া দেশটির হাতে বিপুল পরিমাণ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। ইউক্রেনে হামলার পর যখন বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা চরমে, সে মুহূর্তে পুতিনের ওই নির্দেশ পরিস্থিতি আরও সংকটপূর্ণ করে তুলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নানা নিষেধাজ্ঞার দিকে ইঙ্গিত করে পুতিন বলেন, রুশ অর্থনীতির প্রতি পশ্চিমা দেশগুলো শুধু অবন্ধুত্বসুলভ আচরণই করছে না, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

আর্থিক নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি আকাশপথেও নিষেধাজ্ঞা এসেছে রাশিয়ার ওপর। ইউক্রেনে হামলার পর থেকে রাশিয়ার মালিকানায় থাকা উড়োজাহাজকে যুক্তরাজ্য, পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, স্লোভেনিয়া ও বাল্টিক দেশগুলোর আকাশসীমায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না।

এদিকে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল শনিবার ইউরোপের বিভিন্ন দেশে থাকা রুশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দের ঘোষণা দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। এ ছাড়া আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা ‘সুইফট’ থেকেও রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে সরিয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও অন্যান্য পশ্চিমা দেশ।

এরই মধ্যে আজ থেকে রাশিয়ার জন্য জার্মানির আকাশপথ তিন মাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিনই রাশিয়ার বিরুদ্ধে আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বেলজিয়াম, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসও। আর রাশিয়ার উড়োজাহাজগুলোর জন্য ইতালির, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক, সুইডেন, আইসল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার আকাশপথ বন্ধ করা হবে বলে ঘোষণা এসেছে।

Exit mobile version