অপরাধরাজধানী

দ্বিতীয় বিয়ে করায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্বামীকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজে ফেঁসে গেলেন স্ত্রী

স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই দ্বিতীয় বিয়ে করেন মো. সোহেল বাবু। এতে ক্ষিপ্ত হন প্রথম স্ত্রী নাসরিন বেগম (২২)। সেই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ীর সহায়তায় বাড়িতে হেরোইন রেখে পুলিশে খবর দেন তিনি।তবে ঘটনাটি গোয়েন্দা পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় স্থানীয় ব্যক্তিবর্গসহ নাসরিন বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পরে প্রথম স্ত্রী নাসরিন গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন হেরোইন দিয়ে ফাঁসানোর ঘটনা।

নাসরিন বেগমের স্বামী মো. সোহেল। সোহেল পেশায় পুরনো কাপড়ের ব্যবসায়ী। ছয় বছরের সংসার এক সন্তান রয়েছে তাদের। এরই মাঝে নাসরিনের অনুমতি ছাড়াই তারই (প্রথম স্ত্রীর) মামাতো বোনকে বিয়ে করে সোহেলন। এতে রাগের বশে স্থানীয় এক মাদক ব্যবসায়ী রুবেলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ঘরে ১০ গ্রাম হেরোইন রেখে খবর দেন গোয়েন্দা পুলিশে। খবর পেয়ে আমাদের একটি টিম ঘটনাস্থলে পোঁছে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদক উদ্ধার করে।

সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে চন্দ্রিমা থানাধীন আসাম কলোনীর বউবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পরবর্তীতে ওই রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সত্য ঘটনার উন্মোচন হওয়ায় উল্টো গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেফতার হন বাবুর স্ত্রী নাসরিন বেগম।মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আরেফিন জুয়েল।

পরে সোহেল ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে (সোহেল) মাদকের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এমনকি সে সিগারেট পর্যন্ত খায় না। এতে আমাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে ঘটনার গভীরতর অনুসন্ধানের জন্য সোহেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে (নাসরিন) স্বীকার করে, তারই ১৫ বছর বয়সী মামাতো বোনকে বিয়ে করে স্বামী সোহেল। এতে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ী রুবেল নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে মাদক নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ দিয়ে স্বামীকে জেলে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি আমরা অনুধাবন করায় সে নিজের জালে নিজেই ফেঁসে গেছে।

এ ঘটনায় নাসরিন ও রুবেলের ব্যাপারে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা তা জানতে চাইলে গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় নাসরিনের নামে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এদিকে মুঠোফোনে কথা হয় পুলিশের সোর্স পরিচয়দানকারী মাদক ব্যবসায়ী ও ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী রুবেলের সঙ্গে। তিনি বলেন, নাসরিন আমার ভাগ্নি হয় এবং সোহেল আমার জামাই। এ ঘটনায় আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমার ভাগ্নিকে চাপ দিয়ে এসব কথা স্বীকার করানো হয়েছে এবং আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button