দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি ২৫ মিটার পানির নিচে ডুবে আছে

নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি শনাক্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা।বিআইডব্লিউটিএর একটি উদ্ধারকারী জাহাজ ও একটি বার্জের সহায়তায় লঞ্চটিকে উঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রাতের মধ্যেই উদ্ধারকারী জাহাজ ঘটনাস্থলে আসবে। 

ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক বলেন, ডুবন্ত জাহাজ পানির ওপরে তোলা হলে তার ভেতরে তল্লাশি চালানো হবে। পানির নিচে উদ্ধার অভিযান আগামীকাল (সোমবার) পুনরায় শুরু হবে।এদিকে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান শীতলক্ষ্যা পাড়ে সাংবাদিকদের বলেন, লঞ্চটি পানির ২৫ মিটার (প্রায় ৫৫ হাত) গভীরে ডুবে আছে। দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর বলেন, ফায়ার সার্ভিসের দুটি দলের পাঁচজন ডুবুরি এখানে কাজ করছেন। তারা পানির নিচ থেকে দুর্ঘটনায় নিহত পাঁচজনের লাশ উদ্ধার করেছেন। আর একজন লঞ্চ যাত্রী সাঁতার কেটে ফিরে আসার পর মারা যান। 

একই ঘটনার তদন্তে প্রকৌশলী ও জরিপকারক ওবায়দুল্লাহ ইবনে বশিরকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন অধিদপ্তর। এই কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামীকাল সোমবারের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।

সোয়া দুইটার দিকে বন্দরের আল আমিন নগরের বাংলা সিমেন্ট ঘাট এলাকায় এলে এমভি রূপসী ৯ নামের সিটি গ্রুপের একটি মালবাহী জাহাজ দ্রুত গতিতে অতিক্রম করার সময় যাত্রীবাহী লঞ্চটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চটি ডুবে যায়। এ সময় ১০-১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠলেও অনেকেই নিখোঁজ হন। রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এম এল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। 

Exit mobile version