নববর্ষের প্রথম দিনে সিলেটে কাল বৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৮ জনের মৃত্যু

নববর্ষের প্রথম দিনে সিলেট বিভাগে কাল বৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে মা-ছেলে-মেয়ে, বাবা-ছেলেসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে পৃথক ঘটনায় এই ৮ জনের মৃত্যু হয়। ভোরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঝড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়। সকালে জেলার শাল্লা উপজেলায় মাঠে কাজ করতে গিয়ে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, সকাল ৯টার দিকে শাল্লা সদর উপজেলার নিজ বাড়ির পাশে হাওরে ধান কাটতে বের হন বাবা ও ছেলে। হঠাৎ প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়। শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া সকাল ১০টার পর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন- বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের সামছুল মিয়ার ছেলে কৃষক আলমগীর মিয়া (২৬), দক্ষিণ-পূর্ব ইউনিয়নের জাতুকর্ণপাড়া বড়বান্দের আব্দুর রহমানের মেয়ে ঝুমা বেগম (১৩)। ও একই ইউনিয়নের তাঁতারী মহল্লার আক্কেল আলীর ছেলে হোসাইন (১২)।

ভোর ৪টার দিকে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে পাটলী ইউনিয়নের সুলেমানপুর গ্রামে ঝড়ে ঘরের ওপর গাছচাপা পড়ে মা-মেয়ে ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- সুলেমানপুর গ্রামের হারুন মিয়ার স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), তার মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) ও ছেলে হোসাইন মিয়া (১)। স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুরে রাত থেকে ঝড়বৃষ্টি হয়।

ভোর ৪টার দিকে সুলেমানপুর গ্রামে ঝড়ে হারুন মিয়ার বাড়ির চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে।এ সময় ঘুমিয়ে থাকা মৌসুমা বেগম, তার মেয়ে মাহিমা আক্তার ও ছেলে হোসাইন মিয়া মারা যান। এদিকে সকাল ৭টার দিকে শাল্লা উপজেলায় ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে মারা যান মকবুল মিয়া (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ মিয়া (১২)। 

Exit mobile version