‘স্কাই ব্রিজ ৭২১’ বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু

চেক প্রজাতন্ত্রের জেসেনকি পর্বতমালা। সেখানে পর্বতের এক চূড়ার সঙ্গে আরেক চূড়াকে যুক্ত করেছে একটি ঝুলন্ত সেতু। গত শুক্রবার সেটি দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে বিশ্বের দীর্ঘতম ঝুলন্ত সেতু এটি। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সেতুটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্কাই ব্রিজ ৭২১’।

চার বছর ধরে এর নির্মাণকাজ চলে। নির্মাণে চেক সরকারের খরচ হয়েছে ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার। রাজধানী প্রাগ থেকে গাড়িতে করে সেতুটিতে যেতে সময় লাগবে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।স্কাই ব্রিজ ৭২১–এর অবস্থান একটি অবকাশযাপন কেন্দ্রে। অবকাশযাপন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিশু থেকে প্রবীণ—সব বয়সের মানুষেরই সেতুটির ওপর দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

তবে শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য হুইলচেয়ার ও শিশুদের বহনকারী পুশচেয়ার নিয়ে কেউ সেটিতে উঠতে পারবেন না। আর সেতু ঘুরতে চাইলে আগে থেকেই টিকিট কেটে রাখতে হবে। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটপ্রতি খরচ হবে ১৪ দশমিক ৬০ ডলার।

ঝুলন্ত সেতুটির উচ্চতা মাটি থেকে ৯৫ মিটার ওপরে। আর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১ হাজার ১১০ থেকে ১ হাজার ১১৬ মিটার। সেতুর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব ৭২১ মিটার, প্রস্থ ১ দশমিক ২ মিটার। সেতুটির ওপর দিয়ে কেবল এক দিকেই হেঁটে চলাচল করা যাবে। সেতুটি দিয়ে যাত্রা শেষে চেক প্রজাতন্ত্রের ইতিহাস জানার বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে।

স্কাই ব্রিজ ৭২১-এর আগে এত দিন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ ঝুলন্ত সেতুর তকমা ছিল নেপালের ‘বাগলুং পর্বত ফুটব্রিজ’-এর। সেটির এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তের দূরত্ব স্কাই ব্রিজের চেয়ে ১৫৪ মিটার কম। তবে আপাতত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নেপালের এই ঝুলন্ত সেতুই দীর্ঘতম হিসেবে নথিবদ্ধ রয়েছে।চেক প্রজাতন্ত্রের অবস্থান মধ্য ইউরোপে। দেশটির দক্ষিণে রয়েছে অস্ট্রিয়া, পশ্চিমে জার্মানি, উত্তর-পূর্বে পোল্যান্ড ও দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে স্লোভাকিয়া।

সেতুটি উদ্বোধনের পর সেটিতে ভ্রমণ করেছেন অস্ট্রিয়ার ব্লগার ভিক্টোরিয়া ফেলনার। সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে হয়তো হেঁটে যাওয়ার সময় সেতুটি কাঁপতে থাকবে। তবে আমার সেতুযাত্রা অতটাও খারাপ ছিল না। আপনি অসাধারণ সব দৃশ্য দেখতে পাবেন। কপাল ভালো যে আমি উচ্চতায় ভয় পাই না।’

Exit mobile version