নোয়াখালীতে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২ নারী গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সদর উপজেলার ২০ নম্বর আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের (৩৩) অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ২ নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের থেকে এসব কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন- নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামের সানজিদা আক্তার জেরিন (২০) ও চাটখিল পৌরসভার দশঘরিয়া সুবর্ণা মাহাবুব (৩৫)। আজ দুপুরে গ্রেপ্তারকৃদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার অপর আসামি নোয়াখালী পৌরসভার হরিনারায়ণপুর এলাকার নুসরাত জাহান তিথি (২৬)পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় গত বুধবার ভুক্তভোগী ইউপি সচিব ৩ জনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে সুধারাম মডেল থানার পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গত ৫-৬ বছর তারা কয়েকজন মিলে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করে টাকা আদায় করে আসছিলেন।’ পরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, নোয়াখালীর মাইজদী শহরে দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র প্রতিষ্ঠিত বিত্তশালী পুরুষদের টার্গেট করে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিডিও চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ হয়। আবার অনেক সময় নির্জন কক্ষে ডেকে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে এই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া কিংবা পারিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ক্রমাগত টাকা দাবি করত চক্রের সদস্যরা।

পুলিশ আরও জানায়, একজন ভুক্তভোগী প্রতিকার চেয়ে থানায় অভিযোগ দেয়। পুলিশ অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পেলে এ ঘটনায় পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়। ওই মামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ২ নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের থেকে মোবাইলে ধারণকৃত বিভিন্ন জনের অশ্লীল ভিডিও উদ্ধার করা হয়।

Exit mobile version