নেত্রকোনায় দশ মামলার আসামি মাদক সম্রাজ্ঞি ললিতা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

নেত্রকোনার বারহাট্টায় দশ মামলার আসামি কথিত মাদক সম্রাজ্ঞি ললিতাকে (৪৫) আবারও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিশেষ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা সদরে গোপালপুর বাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তার কাছে ৪৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ লুৎফুল হক অভিযানে নেতৃত্ব দান করেন।গ্রেপ্তার ললিতাকে আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, আমি বারহাট্টা থেকে মাদক ব্যবসা নির্মূল করতে চাই। এ জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

দাপটের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা তাকে মাদক সম্রাজ্ঞি নামে ডাকে। তিনি বার বার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে ছাড়া পেয়ে পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন। তার শাস্তি না হওয়ার বিষয়টিকে রহস্যজনক বলেই মনে করেন অনেকে।

কিছুদিন আগে নেত্রকোনা পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা ললিতাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। ছাড়া পেয়ে তিনি পুনরায় মাদক ব্যবসা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির গত জুন মাসের সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

জানা যায়, ললিতা দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায় জড়িত রয়েছেন। তার ছত্রচ্ছায়ায় বারহাট্টায় এক বাহিনী গড়ে উঠেছে। অনেক তরুণ-তরুণী ও যুবক-যুব মহিলা এই বাহিনীর সদস্য। তারা কেউ কেউ খুচরা বিক্রেতা বা বিভিন্ন এলাকার ক্রেতাদের কাছে মাদক পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেন।

স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীদের মাদক ব্যবসায় জড়ানোর কাজও করেন তারা। সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর মতো তার নিজস্ব সোর্স রয়েছে। তারা পুলিশ আসার আগাম খবর সংগ্রহসহ ললিতার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। অতি দরিদ্র ঘরের মেয়ে ললিতা বর্তমানে একটি তিন তলা ভবনে বসবাস করেন। মাদক ব্যবসা পরিচালনা করে তিনি ওই ভবনসহ অনেক সম্পদের অধিকারী হয়েছেন বলে শোনা যায়।

অভিযোগ আছে থানা পুলিশের দুই-একজন অফিসার ললিতাসহ অন্যান্য মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করছেন। ফলে তারা অবাধে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ পাচ্ছে। এই অভিযোগের পর পরই পুলিশ নড়েচড়ে বসে। সর্বশেষ নবাগত ওসি মুহাম্মদ লুৎফুল হকের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

Exit mobile version