*যশোরে অনিয়মের অভিযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত*
*যশোরে অনিয়মের অভিযোগে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত**অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোরের চৌগাছা ছারা পাইলট বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি। প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মোস্তফাকে দ্বিতীয়বার বরখাস্ত করা হলো। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব পালন থেকে অব্যহতির জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে।বিষয় নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন, কেন্দ্রসচিবের দায়িত্বের বিষয়টি নিয়মানুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।*
*প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।গত ৮ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মস্তফাকে দ্বিতীয়বার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুর রহমান বাবুল স্বাক্ষরিত সাময়িক বরখাস্ত গত ১২ সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষককে দেয়া হয়েছে। বরখাস্ত পত্রর অনুলিপি যশোরের জেলা প্রশাসক, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, যশোরের জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিয়েছেন। একই সাথে সাময়িক বরখাস্তকৃত প্রধান শিক্ষককে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব না দেয়ার জন্য আবেদন করেন।প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মোস্তফাকে চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল প্রথম বার সাময়িক বরখাস্ত হয়।*
*সেময় প্রধান শিক্ষক নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। প্রধান শিক্ষকের অঙ্গিকারের প্রেক্ষিতে গত ৯ জুন তারিখের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় তাকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। পরে ফের অভিযোগ উঠলে গত ১০ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে চৌগাছা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহিদুর রহমান বকুলকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি করা হয়। ৫ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাক্তন সভাপতির ২টি ও বর্তমান সভাপতির ৩টি স্বাক্ষর জাল করে জেলা পরিষদের ৩ লাখ এবং টিউশন ফিয়ের ৯৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিজে আত্মসাৎ করেছেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা, স্টিলের বেঞ্চ বিক্রির টাকা এবং অ্যাসাইনমেন্টের খাতা বিক্রির টাকা যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়নি।*
*প্রতিবেদনে আরো কিছু অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো ছাত্র বেতন আদায়ের রশিদ না থাকা উন্নয়ন কাজে প্রধান শিক্ষক নিজে সভাপতি হয়ে প্রকল্প কমিটি গঠন করা, ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমতি ছাড়া নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া, রেজুলেশন বইতে ভোটার পরিবর্তন করা।ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি এস এম সাইফুর রহমান বাবুল বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ায় ৮ সেপ্টেম্বর তারিখের কমিটির ৯নম্বর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মোস্তফাকে পূনরায় সাময়িকভাবে বরখাস্তর করা হয়।*
*একই সভায় বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক প্রভাত কুমার মিশ্রকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি বলেন, একইসাথে তাকে যেন কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব দেয়া না হয় সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করানো হয়েছে।এবিষয়ে প্রধান শিক্ষক কাজী গোলাম মোস্তফার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন একটু ব্যস্ত আছি। পরে কথা বলবো।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম রফিকুজ্জামান বলেন, পত্র পেয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।*