
আজ শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি আহসানিয়া মিশনে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশ যুদ্ধ চায় না। বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান করতে চায়।তবে কাজ না হলে জাতিসংঘকে জানানো হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যায়ে বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কথা দিয়ে কথা রাখেনি।বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশের কনফ্লিক্ট, গুলি তাদের সীমানায় থাকা উচিত। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। মিয়ানমার ভবিষ্যতে সংযত থাকবে আশা করছি।
আজ সাংবাদিকেরা সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের সীমানায় এসে যে গোলাবারুদ পড়ছে, এটার কড়া ভাষায় আমরা প্রতিবাদ করছি। ওদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। সুস্পষ্টভাবে আমাদের অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী কখনোই যুদ্ধ চান না, আমরা চাই শান্তিপূর্ণ সমাধান। তাদের যে ইন্টারনাল কনফ্লিক্ট (অভ্যন্তরীণ সংঘাত), সেটা তাদের সীমানার ভেতরেই থাকুক। বাইরে যেটা আসছে, সেটার সব সময় প্রতিবাদ করে আসছি।
মিয়ানমারের এ ধরনের তৎপরতায় নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শঙ্কা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্ডার দিয়ে রোহিঙ্গারা যেন না আসে, সেটার ব্যবস্থা আমাদের বিজিবি, আমাদের কোস্ট গার্ড করছে। তার পরও দু-একজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসছে। আমরা তাদের পুশব্যাক করে আবার ফিরিয়ে দিচ্ছি। এ ধরনের ঘটনা হচ্ছে।
মিয়ানমারে অনেকগুলো জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠী নিয়ে সমস্যা আছে বলে উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা দেখছি মিয়ানমার শুধু রোহিঙ্গা নয়, তাদের অনেক জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। থাইল্যান্ড, চীন, মিজোরাম এবং আমাদের সীমানা ধরে যুদ্ধ চলছে।
আমরা লক্ষ করছি, আরাকান আর্মি নামে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে যুদ্ধ করছে। তাদের সঙ্গে কখনো দেখি ভালো ভাব, কখনো দেখি যুদ্ধ। ভেতরে কী রহস্য, সেটা তারাই ভালো জানে। তাদের যুদ্ধ তাদের সীমানায় থাকা উচিত।আমরা চাই, ১২ লাখ রোহিঙ্গা এখানে আশ্রয় নিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবে তারা যেন প্রত্যাবাসিত হয়, সে চেষ্টা আমরা করছি।’
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ