অপরাধমৌলভীবাজারসিলেট

বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস করে বিজিবি।

সিলেট, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৪ মাসে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকার মাদক আটক করেছে বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করা হলেও কাউকে আটক করতে পারেনি বিজিবি।

কারন হিসেবে বিজিবি বলছে, যখন অভিযান চালানো হয় তখন পাচারকারীরা মাদক রেখে ভারত সীমান্তে ঢুকে যায়। এ কারণে তাদের আটক করা সম্ভব হয় না।শনিবার গণমাধ্যমে শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়ন (৪৬ বিজিবি), বিয়ানীবাজার ব্যাটলিয়ান (৫২ বিজিবি) এবং হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের (৫৫ বিজিবি) মাদকদ্রব্য ধ্বংসকরণ অনুষ্ঠানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ৫৫ ব্যাটালিয়ান বিজিবির অধিনায়ক এসএম সামিউন্নবী চৌধুরী এসব তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে জুলাই ২০২২ পর্যন্ত হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার এবং সিলেট জেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১১ হাজার ৯০৮ বোতল ভারতীয় মদ, ৭ হাজার ৩৮৪ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৫ হাজার ৫৯১ কেজি ১ গ্রাম গাঁজা, ৯০৯ বোতল ভারতীয় বিয়ার, ১৫ হাজার ৭২৬ পিস ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৭৮ বোতল ইস্কপ সিরাপ জব্দ করা হয়। ৩৫ লাখ ৫৯ হাজার ২০০ পিস নাসির পাতার বিড়ি, ৪৭৫ প্যাকেট বাবা জর্দা ধ্বংস করা হয়। যার বাজার মূল্য ৫ কোটি ২৯ লাখ ৪১ হাজার ৮৮০ টাকা।

কেন চোরাকারবারি ধরা যায় না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিজিবি-৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এস এন এম সামীউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবি যখন অভিযান চালায়, চোরাকারবারিরা টের পেয়ে ভারতের সীমান্তে ঢুকে পড়ে। যে কারণে অন্য দেশের ভেতর প্রবেশ করে তাদের ধরা সম্ভব হয় না। আমাদের সীমাবদ্ধতা নিশ্চিত করা।তিনি আরও জানান, ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা নির্দিষ্ট এলাকা বা চৌকিতে দায়িত্ব পালন করেন।

যে কারণে দুর্গম এলাকায় চোরাকারবারিদের ধরতে তাদের সাহায্য পাওয়া যায় না।তিনি বলেন, আমি প্রতি মাসে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীকে মাদক চোরাচালান বন্ধে চিঠি দিই। চিঠিতে মানবতার বিষয় তুলে ধরে ক্ষতিকর মাদকদ্রব্য চোরাচালান বন্ধে তাদের সাহায্য চাওয়া হয়। তারাও চোরাচালান রোধের বিষয়টি প্রশংসা করে আমার চিঠির উত্তর দেয়। কিন্তু খুব একটা কার্যকর কিছু হচ্ছে না বলেও সংশয় প্রকাশ করেন।

বাংলা ম্যাগাজিন /এনএইচ

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button