Featuredঅপরাধআওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভ

*এবার ৩০০ কোটি টাকা দু’র্নীতি এবং ভূমি দ’খলের অভিযোগে এমপির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান*

*এবার ৩০০ কোটি টাকা দু’র্নীতি এবং ভূমি দ’খলের অভিযোগে এমপির বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান**। দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশনের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, এমপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকার প্রেক্ষিতে তার বি’রুদ্ধে প্রাথমিক অ’নুসন্ধান শুরু হয়েছে। অ’নুসন্ধানের প্রতিবেদন পাবার পর এ সম্পর্কে কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলে জানা গেছে। ওই এমপি হলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের নাইমুর রহমান দুর্জয়।*

*দু’র্নীতি দ’মন কমিশ’নে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে সে সমস্ত অভিযোগে বলা হয়েছে যে, নানা জায়গায় অ’বৈধ দ’খল এবং চা’করীর প্র’লোভন দেখিয়ে অ’র্থ আ’ত্মসাৎ। এই এমপি নি’য়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে ৩০০ কোটি টাকা হা’তিয়ে নি’য়েছেন বলে কমিশনে অভিযোগ আছে। এছাড়াও মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে যে, আ’রিচা ঘাটের কাছে নদীর ভাঙন ঠে’কানোর নাম করে সরকারি টাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজার দিয়ে যমুনা নদীর বা’লু উ’ত্তোলন করেছেন তিনি।*

*আর সেই বালু প’রিত্যক্ত এলাকায় ইট-ভাটায় মজুত করে বিক্রি করেছেন। এসব দু’র্নীতি’র কারণে এ’খন আরিচা ঘাট ভা’ঙনের দ্বা’রপ্রান্তে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। দু’র্নীতি দ’মন কমিশনের অভিযোগ গুলোতে বলা হয়েছে যে, নিকট আত্মীয়দের দিয়ে তার নির্বাচনী এলাকায় জ’মি দ’খল ক’রেছেন এবং জমি দ’খলে একটি স’ক্রিয় চ’ক্র গড়ে উঠেছে ওই আত্মীয়ের নেতৃত্বে। তার একজন নিকট আত্মীয় তায়েবুর রহমান টিপুর নির্দেশে এই চক্রটি পরিচালিত হচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে এবং টিপু ছাড়া শিবালয় এলাকায় কোনো জমি কে’উ কেনা-বেচা করতে পারে না বলে অ’ভিযোগে বলা হয়েছে। *

মানিকগঞ্জ ১ আসনের নাইমুর রহমান দুর্জয়

*এছাড়াও, এই এলাকায় কেউ জমি কিনতে গেলে প্রতি শতাংশ জমির উপর চাঁ’দা দা’বি করা হয় এবং এই চাঁ’দা না দি’লে জমি বিক্রিতে বা’ধা দে’য়া হয়। আলোচ্য এমপির বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় ঠি’কাদার’দের কাছ থেকেও উৎকোচ গ্র’হণের অভিযোগ রয়েছে। এ’কাধিক ঠিকাদার দু’র্নীতি দ’মনে অভিযোগ করেছে যে, তাদের কাছে অ’বৈধভা’বে টাকা চা’ওয়া হয়েছিলো। শুধু যে এমপি একাই অনিয়ম করেছেন এমনটি নয়, দুর্জয়ের স্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে অ’বৈধ স’ম্পদ গড়ার।*

*দুর্জয়ের স্ত্রীর বি’রুদ্ধেও ভূ’মি অফিসে আ’ধিপত্য বিস্তার এবং এলাকায় শতাধিক বিঘা খা’সজমি দ’খলে অভিযোগ রয়েছে। দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশনের সূত্র বলছে যে, এমপি হওয়ার পর আট বছরে তার আট গুণ আয় বেড়েছে। অথচ হলফনামায় স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপির নামে কোনো আ’য়ের উৎস দেখানো হয়নি। এটি দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশন আইনে শা’স্তিমূলক অ’পরাধ বলেও জানা গেছে।*

*দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশনের অভিযোগে বলা হয়েছে যে, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম করেছেন। দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন যে, দু’র্নীতি দ’মন ক’মিশনের নিয়ম অনুযায়ী এই অভিযোগগুলো অনুসন্ধান হচ্ছে। অনুসন্ধানের পর যদি এই অভিযোগ সম্বন্ধে সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষ এই নিয়ে তদন্ত হবে এবং তদন্তের পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।*

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button