আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে দেয়া পরিপত্র থেকে জানা যায় যে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণে ৪টি ক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষে ছাড় দেয়া হবে।বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।
পরিপত্র থেকে আরও জানা যায়, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি টুর, এপিএ ও ইনোভেশনের আওতাভুক্ত বৈদেশিক ভ্রমণ, ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নিম্নোক্ত উদ্দেশ্যে সীমিত আকারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে।
১ঃ পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় বা দেশ কর্তৃক দেয়া স্কলারশিপ, ফেলোশিপের আওতায় বিদেশি অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়নের জন্য বিদেশ ভ্রমণ;
২ঃ সরকারের সঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সই হওয়া সমঝোতা স্মারকের ভিত্তিতে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় আয়োজিত বিশেষায়িত বা পেশাগত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ;
৩ঃ বিদেশি সরকার, প্রতিষ্ঠান বা উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ;
৪ঃ সরবরাহকারী, ঠিকাদার, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের অর্থায়নে সেবা বা পণ্যের গুনগত মান নিরীক্ষা বা পরিদর্শনের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ;
এর আগে ১২ মে ২০২২ এ অর্থ মন্ত্রণালয় এক পরিপত্রে বলা হয়েছে, করোনা–পরবর্তী অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের প্রেক্ষাপটে পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক্সপোজার ভিজিট, শিক্ষাসফর, এপিএ এবং ইনোভেশনের আওতামুক্ত ভ্রমণ ও ওয়ার্কশপ বা সেমিনারে অংশগ্রহণসহ সব ধরনের বৈদেশিক ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। এ আদেশ উন্নয়ন বাজেট ও পরিচালন বাজেট উভয় ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অবিলম্বে আদেশটি কার্যকর হবে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ
