Featuredআওয়ামী লীগএক্সক্লুসিভ

*আ’লীগের কিছু নেতাকর্মী স’রকারবি’রোধী আ’ন্দোলন উ’স্কে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন*

*আ’লীগের কিছু নেতাকর্মী স’রকারবি’রোধী আ’ন্দোলন উ’স্কে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন** অভ্যন্তরীণ কো’ন্দল, হাইব্রিড, অনুপ্রবেশ’কারী এবং বিরোধী দলের আন্দো’লন নানামুখী চাপে ক্ষমতা’সীন আওয়ামী লীগ। টানা ১৩ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষ’মতায় আছে দলটি। কিন্তু এ’খন এসে আওয়ামী লীগের ভেতরে নানারকম সংকট বেড়েই চলেছে। এই সংকটগুলো আ’গামী নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের জন্য বড় মাথা’ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে রাজ’নৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এই সংকটের সময়ে আওয়ামী লীগের যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নেয়া দরকার সেক্ষেত্রেও সফলতা আসছে না।*

*বরং ক্রমশ রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ একা হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে মহাজোট এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নেই বলে জাতীয় পার্টি বলেছে। আর অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটও সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। সামনের দিনগুলোতে এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে ক’মিটি বাণিজ্য, চাঁ’দাবা’জি, টে’ন্ডারবা’জীসহ ব্যাপক অভিযোগ উঠছে। এটি আওয়ামী লীগের অবস্থাকে আরও সংকটাপন্ন করে তুলেছে। *

*বিশেষ করে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত নানা অভিযোগ আওয়ামী লীগের ইমেজ ক্ষুণ্ণ করছে বলে অনেকেই মনে করছেন। আওয়ামী লীগের কোনো কোনো নেতাকর্মী স’রকারবি’রোধী আন্দোলন উ’স্কে দেয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছেন। বিরোধী দলের সাধারণ কর্মসূচিতে হঠকারিতা করে উ’স্কানিমূ’লক ক’র্মকা’ণ্ডে চালানো হচ্ছে। যার ফলে স’রকারের ইমেজ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। এরকম ঘটনা সব সময় বি’রোধীদলকে জনপ্রিয় করা এবং চা’ঙ্গা করার ক্ষেত্রে কাজে দেয়। আওয়ামী লীগের ভেতরে কোনো অনুপ্রবেশকারীরা করছে কিনা এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকায় যে দুটি ঘটনা ঘটেছে তার পেছনে কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। *

*বরং অতি উৎসাহীরা এই কাণ্ডটি ঘটিয়েছে বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মনে করছেন। সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হচ্ছে। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যাদেরকে মনোনয়ন দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগই বিদ্রোহী প্রা’র্থী দিয়েছে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচন কোনো সাধারণ জনগণের ভোটে হয়না বরং একটি নির্দিষ্ট প্রতিনিধিদের ভোটে হয়। সেরকম একটি নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কেমন করে হলো এটি নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যেই বড় ধরনের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। *

*এমনকি আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদ-উপজেলায় যেভাবে লড়াই করেছিলো এবার যেন এসে লড়াইটা আরও তীব্র হয়ে যাচ্ছে। ফলে প্রত্যেকটা জেলায় একরকমের বিভক্তি তৈরি হচ্ছে। মাত্র ১৯টি জেলায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বা’কিগুলোতে এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে এবং এটি আওয়ামী লীগের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। আওয়ামী লীগ গত কিছুদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ কো’ন্দলে জর্জরিত এবং এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটানোর জন্য যত উদ্যোগই নেয়া হোক না কেন সে উদ্যোগগুলো খুব একটা সফল হয়নি। *

*বরং দলে রীতিমতো চেইন অব ক’মান্ড ভে’ঙে গে’ছে, দলের এক নেতা অন্য নেতার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সমালোচনা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মন্তব্যগুলো প’র্যালোচনা করলে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের প্রধান শত্রু এখন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নিজেই একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলছে। এটি আওয়ামী লীগের জন্য একটি বড় সংকট বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। আর এই সংকট মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগকে আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। দেখার বিষয় এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আওয়ামী লীগ কি পথ অবলম্বন করে।*

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button