ছাত্রলীগ নেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ছড়ানোর অভিযোগ, মামলা

সংগঠনের এক নারীনেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে ছড়ানোর অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া মডেল থানায় ওই নারীনেত্রী নিজেই মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ওই তরুণীর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ করে ফেসবুকে পোস্ট করে মর্যাদাহানির অভিযোগে মামলা হয়েছে। ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (১) /৮ (২) /৮ (৩) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট মামলার তদন্ত করছে। আসামিদের ধরতে তৎপরতা চলছে।

মামলার আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর গ্রামের মো. হৃদয় (২৪), দৌলতপুর গ্রামের শাকিল আহমেদ (২৮), ফারদিন সৃষ্টি (২২), কুমারখালী উপজেলার কালুপাড়া এলাকার রেফাউল ইসলাম (২২), বরুইচারা এলাকার রাহাতুল ইসলাম (২১) ও চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার মুহাইমিনুল মিরাজ (২৩)। তাঁদের মধ্যে শাকিল আহমেদ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রেফাউল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক, ফারদিন সৃষ্টি সহসম্পাদক, রাহাতুল ইসলাম স্বাস্থ্য ও চিকিৎসাবিষয়ক সম্পাদক, মো. হৃদয় সদস্য এবং মুহাইমিনুল মিরাজ জেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা নানা কৌশল অবলম্বন করে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের ওই নেত্রীর ব্যক্তিগত আপত্তিকর কিছু ছবি নিজ নিজ ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই নেত্রী তার নিজ ফেসবুক আইডিতে ঢুকে ওই সব আপত্তিকর ছবি দেখতে পান।ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রীর দাবি, তাকে হেয়প্রতিপন্ন ও তার সম্মানহানি করতে আসামিরা তার ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ নেত্রী বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে গত সোমবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে তিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ খবর জানার পর আসামিরা তাঁর সম্মানহানি করতে ব্যক্তিগত ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরও যদি কোনো প্রতিকার তিনি না পান, তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো পথ থাকবে না তাঁর।

বাংলা ম্যাগাজিন এস/কে 

Exit mobile version