Featuredএক্সক্লুসিভরাজনীতি

*সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে বিএনপি*

*সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে বিএনপি** বিএনপি ব’লেছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আ’গামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ ক’রবে না। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নি’র্বাচনের জন্য তা’রা তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের বিকল্প নে’ই বলেও ঘোষণা করেছে। এ নি’য়ে তারা রাজপথে আ’ন্দোলন জমাতে না পারলেও কূটনৈতিক অ’ঙ্গনেও ঘটা করেই বৈঠক বিভিন্ন রকম বৈঠক করছেন। *

*আর এই বৈ’ঠকগুলোতে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যৌ’ক্তিকতা তু’লে ধরার চেষ্টা করছেন। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কোয়াডভুক্ত দে’শগুলো জা’নিয়ে দিয়েছে যে, শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ’ন্য সংবিধান সংশোধনকে তা’রা সমর্থন করে না। বরং মার্কিন যু’ক্তরাষ্ট্র বিএনপিকে সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যেই কোনো সমাধান খুঁজে বের করার জন্য প’রামর্শ দিয়েছে। এই প’রামর্শের আ’লোকেই বিএনপির আইনজী’বীরা এখন সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক স’রকার গঠনের সম্ভাব্যতা যাচাই করছে এবং এ ব্যাপারে তা’রা তিনটি পথ খুঁজে পেয়েছে বলেও একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নি’শ্চিত করেছে। *

*বিএনপি সূ’ত্রে বলা হয়েছে, এই তিনটি তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের ফর্মুলা নিয়ে তা’রা আবার কূটনৈতিকদের স’ঙ্গে কথা বলবেন এবং কূটনীতিকরা যেটির ব্যাপারে সবুজ সংকেত দি’বেন সেটিকে আরও পরিপূর্ণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের রূপরেখা হি’সেবে উপস্থাপন করবেন। বিএনপির প’ক্ষ থেকে তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের যে তিনটি ফর্মুলা দে’ওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে , বিএনপি আইনজীবীরা ম’নে করছেন বর্তমান সাংবিধানিক কা’ঠামোর মধ্যে এ’কজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা যায়। ব’র্তমান সংবিধানে এক-দশমাংশ টে’কনোক্র্যাট মন্ত্রী রাখার সু’যোগ রয়েছে। *

*এই সু’যোগকে কাজে লা’গিয়ে যেকোনো একজন স’কলের কাছে গ্র’হণযোগ্য ব্য’ক্তিকে মন্ত্রী বানাতে পা’রেন এবং সেই মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হি’সেবে দায়িত্ব গ্র’হণ করতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী ছুটিতে বা নিষ্ক্রিয় হ’য়ে থাকতে পারেন। এই ফর্মুলায় ব’লা হয়েছে, এমনকি যদি ব’র্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধানমন্ত্রী থা’কেন কিন্তু তিনি যদি কোনো দপ্তর না রা’খেন এবং টেকনোক্র্যাট ব্য’ক্তির কা’ছে যদি স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষার মত গু’রুত্বপূর্ণ ম’ন্ত্রণালয় দেয়া যা’য় তাহলে তার নে’তৃত্বে একটি নি’র্বাচন করা সম্ভব। তবে এই মতের ব্যাপারে বিএনপির কোনো কো’নো আইনজীবী বলছেন, সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে নি’রঙ্কুশ ক্ষমতা দে’য়া হয়েছে। কোনো মন্ত্রণালয়ের দা’য়িত্বে না থাকলেও তিনি সকল ক্ষমতার অ’ধিকারী। কাজেই এটি করা হ’লেও শেষ পর্যন্ত শেখ হাসিনার অ’ধীনেই নি’র্বাচন করা হ’বে।*

*তাছাড়া এই দা’বিটি বিএনপির দা’বির সাথে সাংঘর্ষিক। তবে বিএনপির কো’নো কোনো নে’তা বলছে এটি মন্দের ভালো। এ’কজন গ্রহণযোগ্য টেকনোক্র্যাট ম’ন্ত্রীর হা’তে যদি গুরুত্বপূর্ণ ম’ন্ত্রণালয়গু’লো দে’য়া হয় এবং প্রধানমন্ত্রী যদি নি’ষ্ক্রিয় থা’কেন তা’হলে বিএনপির দাবি আংশিক হলেও পূরণ হয়। বিএনপির নে’তারা মনে ক’রছেন যে, প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিসভা থা’কার পরও যদি রাষ্ট্রপতির হা’তে নির্বাচনকালীন স’ময়ে কর্তৃত্ব রাখা হয় এবং রাষ্ট্রপতির প’দকে যদি নির্বাচনকালীন স’ময়ে রাজনৈতিক ঐ’ক্যের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ করা হয় তাহলে বর্তমান সরকারের অধীনে এ’কটি নি’র্বাচন সম্ভব। তবে এটি নি’র্ভর করবে সরকার রা’ষ্ট্রপতি কাকে নিয়োগ ক’রছে তার ওপর। *

*কারণ আ’গামী কয়েক মাসের মধ্যেই আওয়ামী লীগকে এ’কজন নতুন রাষ্ট্রপতি নি’র্বাচিত কর’তে হবে এবং এই রাষ্ট্রপতির নে’তৃত্বে আগামী জাতীয় সংসদ নি’র্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ’কজন গ্র’হণযোগ্য ব্যক্তি য’দি রাষ্ট্রপতি হন তা’হলে তাকে ক্ষ’মতায়ন ক’রে বর্তমান সাংবিধানিক কা’ঠামোর মধ্যে একটি সু’ষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব ব’লে অনেকে মনে করছেন।বি’এনপির তৃতীয় ফ’র্মুলা হচ্ছে নির্বাচনকালীন যে ম’ন্ত্রিসভা থাকবে সে মন্ত্রিসভা নি’ষ্ক্রিয় থাকবে এবং এই নি’ষ্ক্রিয় মন্ত্রিসভায় আ’ওয়ামী লীগ এ’বং অন্যান্য বিরোধী দ’লের সমপরিমাণ স’দস্য সংখ্যা থাকবে।*

*তবে তারা শু’ধু নামেই মন্ত্রী থা’কবেন কিন্তু কোনো দা’য়িত্ব পালন করতে পা’রবেন না। বরং এই দা’য়িত্ব গুলো পালন করবে একটা উ’পদেষ্টামণ্ডলী যে’টি প্রধানমন্ত্রী তৈরি করবেন। বর্তমান স’রকারেরও বেশকিছু উ’পদেষ্টা আছেন। ও’ই নির্বাচনকালীন স’ময়ে প্রধানমন্ত্রী ১০জন উপদেষ্টা নিয়োগ দি’বেন এবং উপদেষ্টারাই দে’শ পরিচালনা করবেন, মন্ত্রীরা শু’ধুমাত্র নামে মন্ত্রী থাকবেন। এ’রকম একটি প’দ্ধতি যদি শেষ পর্যন্ত হয় এবং এ’টি নিয়ে যদি রা’জনৈতিক সমঝোতা হয় ত’বে সেভাবেও আগামী নির্বাচন হ’তে পারে। তবে বিএনপির নী’তিনির্ধারকরা ব’লছে যে, তারা এখন পর্যন্ত নির্দলীয় নি’রপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের বিকল্প ভা’বছেন না। *

*কিন্তু শে’ষ পর্যন্ত একটি স’মঝোতার জায়গা হি’সেবে এ বিষয়গুলো আ’লোচনা হতে পারে এবং আ’লোচনার পরই চূ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, কিভাবে নি’র্বাচন সুষ্ঠু করা যা’য় এবং কোন প’দ্ধতিতে নি’র্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ ক’রবে।*

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button