যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে মার্কিন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ঘোষণা
যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশে মার্কিন অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে এ ঘোষণা দেন তিনি। আজ শুক্রবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বিবৃতি বলা হয়, বাংলাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। এ ছাড়া হাইটেক পার্ক ও ছয় লাখের বেশি দক্ষ ফ্রিল্যান্সার থাকায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ স্থান।
ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রচলিত খাতগুলোর বাইরেও নতুন নতুন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিকশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন সভাপতি।ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি, রোবটিকস, ব্লকচেইন, স্পেস, বায়োহেলথসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
গত ১৩ বছরে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মার্কিন উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হলো বাংলাদেশ। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক কর্মক্ষম তরুণরাও যে কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য বাড়তি সুবিধা বয়ে আনবে।
বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে নিউ ইয়র্কে ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠকে এ আহবান জানান তিনি।প্রয়োজনে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার ঘোষণাও দেন প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীদের নবায়নযোগ্য শক্তি, জাহাজ নির্মাণ, অটোমোবাইল, ওষুধ, ভারি যন্ত্রপাতি, সার, সমুদ্র সম্পদ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও কোভিড-১৯ টিকা তৈরিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতে বিনিয়োগে আমন্ত্রণ জানান।গোল টেবিল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে দেশটির বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে।
উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের তথ্যও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২১-২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে প্রায় ১০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। একই সময়ে আমদানি করে প্রায় ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।আঞ্চলিক সংযোগে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৌশলগত অবস্থান এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব হওয়ার জন্য প্রচুর সম্ভাবনার দাবি রাখে। দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু অভ্যন্তরীণ ও আঞ্চলিক সংযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে