দুর্ঘটনানাটোরবাংলাদেশ

দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ নামের এক তরুণের মৃত্যু

নাটোরের লালপুরে দৌড়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ (২২) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল পৌনে আটটার দিকে আবদুলপুর রেলজংশনে ট্রেনে কাটা পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়।হাসানুজ্জামান ইমতিয়াজ রাজশাহীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাড়ি পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকায়। তাঁর বাবা ইসাহক আলী পাবনা জজকোর্টের আইনজীবী।

আব্দুলপুর স্টেশন মাস্টার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহীগামী কমিউটার এক্সপ্রেস ট্রেনটি লালপুরের আব্দুলপুর জংশন স্টেশনে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে এসে থামে। এ সময় ইমতিয়াজ ট্রেন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামেন।

পরে ট্রেনটি রাজশাহীর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করলে ইমতিয়াজ চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় তার বাবা অ্যাডভোকেট ইসাহাক আলীও ট্রেনে ছিলেন। ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন তিনি।আবদুলপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শেখ জিয়াউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা রেল লাইনের ওপর থেকে মৃতদেহটি সরিয়ে রেখেছে। ঘটনাটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানাকে অবহিত করা হয়েছে।

হাসানুজ্জামানের বন্ধু ও প্রত্যক্ষদর্শী আরিফুল ইসলাম বলেন, তাঁরা কমিউটার ট্রেনে একসঙ্গে ঈশ্বরদী থেকে রাজশাহীতে যাচ্ছিলেন। ট্রেনটি আবদুলপুর রেলজংশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়ালে ইমতিয়াজ পুরি খাওয়ার জন্য ট্রেন থেকে নামেন। পুরি খাওয়ার সময় ট্রেনটি ছেড়ে দিলে দৌড়ে ট্রেনের হাতল ধরে ওঠার চেষ্টা করেন। তবে এ সময় হাত পিছলে যাওয়ায় আরিফুল ট্রেনের নিচে পড়ে যান। ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যাওয়ার পর লোকজন তাঁর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে।

আরিফুল বলেন, দুর্ঘটনার সময় ইমতিয়াজের মা-বাবা ট্রেনের ভেতরে বসে ছিলেন। ঘটনার পর তাঁরা হতভম্ব হয়ে যান। এর পর থেকে তাঁরা কারও সঙ্গে কোনো কথা বলছেন না।আবদুলপুর রেলস্টেশনের স্টেশনমাস্টার জিয়াউল আলম বলেন, রেলওয়ে থানাকে দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ এসে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

বাংলা ম্যাগাজিন /এসকে

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button