অপরাধএক্সক্লুসিভঢাকাবাংলাদেশরাজধানী

মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের ফ্ল্যাট থেকে এক নবদম্পতি মরদেহ উদ্ধার

রাজধানী মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে এক নবদম্পতি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রাত ১১টার দিকে ওই ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাট থেকে নবদম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  তারা হলেন- নোমান (২৮) এবং তার স্ত্রী শামীমা (২২)।

ডিএমপির মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার মুজিব পাটোয়ারী জানান, আজকে (রোববার) দারোয়ানের কাছে তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা থাকলেও সারাদিন না দেয়ায় দারোয়ান রাতে তাদের ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোন সাড়া না পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে ডেকে আনে। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ভেতরে ঢুকে দুজনকে মৃত অবস্থায় পায়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর লাশ সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল, আর স্ত্রীর লাশ ছিল মেঝেতে। এটি হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নিশ্চিত হতে পুলিশ ময়নাতদন্ত করতে দুটি লাশ মর্গে পাঠিয়েছে।পুলিশ খবর নিয়ে জানতে পেরেছে নোমান ও শামীমার বাড়ি ভোলায়। এক বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।

জানা যায়, সৌদি প্রবাসী নোমান হোসেনের সঙ্গে একবছর আগে বিয়ে হয় দুঃসম্পর্কের আত্মীয় শামীমার। বিয়ের পর সৌদি আরব চলে যান নোমান। গত ১০ সেপ্টেম্বর পরিবারকে না জানিয়ে তিনি দেশে ফেরেন। সেদিনই চলে যান স্ত্রী শামীমাকে আনতে ভোলার লালমোহনে। পরে স্ত্রীকে নিয়ে বাসা ভাড়া নেন মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে। একই বাড়ির পাঁচতলায় ভাড়া থাকতেন নোমানের দুজন বন্ধু।

বাড়ির লোকজনকে তথ্য গোপন করে দেশে ফেরা ও স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাসের রহস্যের বিষয়ে কিছুই জানেন না আত্মীয় স্বজন ও বন্ধুরা। তবে বন্ধুদের দেওয়া তথ্য অনুসারে নোমান সবসময় হাসিখুশি মানুষ ছিলেন।তবে শামীমার বড় ভাই শামিম জানান, নোমান সৌদি থেকে আসার আগে কারো থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে এসেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছিলেন। এসব নিয়ে কলহ হতে পারে বলেও ধারণা তার।

জানা গেছে, বিয়ের পর থেকে দুই পরিবারের মধ্যে নানা সমস্যা চলছিল। এ কারণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।তবে ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এবং সে সাথে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না করে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে না।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button