ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী সু চি ও তার অস্ট্রেলিয়ান উপদেষ্টার ৩ বছরের কারাদণ্ড
আজ বৃহস্পতিবার ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সু চি এবং তার প্রাক্তন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ানিবাসী শন টার্নেলকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে সামরিক জান্তা শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত। উভয়ের বিরুদ্ধে সরকারী গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে যার সর্বোচ্চ শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। যদিও উভয়েই জানিয়েছেন তাঁরা দোষী নয়। সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজধানী নেপিডোতে একটি বদ্ধ আদালত থেকে এই সাজা ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রীয় কী গোপনীয়তা লঙ্ঘন করা হয়েছে তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানিয়েছে সু চি সহ এবং তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টাকে সশ্রম কারাদণ্ড থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র এর আগে রয়টার্সকে জানিয়েছিল, টার্নেলের কাছে সরকারি নথি ছিল।
গত বছরের শুরুর দিকে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা হস্তগত করে দেশটির জান্তা সরকার। এরপর সু চি, তার উপদেষ্টা টার্নেল ও তার অর্থনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির রাজনীতিবিদ, আইন প্রণেতা, আমলা, ছাত্র ও সাংবাদিকসহ কয়েক হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইতিমধ্যেই নোবেল বিজয়ী সু চিকে দুর্নীতির অভিযোগে পৃথক মামলায় ১৭ বছরেরও বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। টার্নেল, যিনি অস্ট্রেলিয়ার ম্যাকুয়ারি ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির অধ্যাপক, তিনিও অভ্যুত্থানের কয়েকদিন পর থেকে আটক ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এবিষয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত থেকেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এর আগে বলেছেন ক্যানবেরা টার্নেলের বিচারের জন্য আদালতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এই রায়ের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং এর আগে বলেছিলেন, টার্নেলের বিচারের বিষয়ে আদালতের একটি সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল ক্যানবেরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানী নেপিইতাওয়ের একটি বদ্ধ আদালতে সু চি এবং শন টার্নেলকে এই সাজা শোনানো হয়। যদিও সরকারী গোপনীয়তা আইনের অধীনে আসামীদের সঠিক অপরাধটি অস্পষ্ট রয়ে গেছে, তবে একটি সূত্র আগে বলেছিল যে টার্নেলের অপরাধ একটি অভিযোগের সাথে সম্পর্কিত। কারণ তার কাছে সরকারী নথি পাওয়া গেছে। জান্তার মুখপাত্র বৃহস্পতিবার এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। জান্তা জোর দিয়ে বলেছে যে মিয়ানমারের আদালত স্বাধীন এবং আইন মেনেই অপরাধীদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলা ম্যাগাজিন /এমএ