আওয়ামী লীগঢাকাবাংলাদেশরাজধানীরাজনীতি

সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায়, তার ফল ভালো হবে না

বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘আমাদের মধ্যেও সহ্যের সীমা রয়েছে। সে সহ্যের বাঁধ যদি ভেঙে যায়, তার ফল ভালো হবে না।’রাজধানীর হাজারীবাগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত কর্মীদের খোঁজ-খবর নিতে আজ শুক্রবার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) যায় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল।

সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন নানক।প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আমরা দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। জনগণের শান্তি-শৃঙ্খলা, জানমালের নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার ভূমিকা পালন করবে।’

এ সময় আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘দুদিন ধরে আমাদের আহত নেতাকর্মীদের দেখছি। আমরা বলতে চাই, সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র কায়দায় মানুষের ওপর, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দেশটিভির সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

দলের পক্ষ থেকে চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলে আহতদের পরিবারকে আশ্বস্ত করেন নেতারা। এ ছাড়া আহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের এ প্রতিনিধি দলটি গুরুতর আহত দলীয় নেতাকর্মীদের দেখতে রাজধানীর সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।

আওয়ামী লীগের আহত নেতাকর্মীদের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে নানক বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে গেছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী এ অবস্থা চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থা সৃষ্টি করেছে। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছে, সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে, ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।’

সম্প্রতি হাজারীবাগে বিএনপি-আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ আলম, আইরিনসহ কয়েকজন। এর মধ্যে শাহ আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button