অর্থ ও বাণিজ্যবাংলাদেশ

নীরবেই বাড়ছে মসলাজাতীয় পণ্য আদা ও রসুনের দাম

নীরবেই বাড়ছে মসলাজাতীয় পণ্য আদা ও রসুনের দাম। বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও এক মাসে আদা কেজিতে বেড়েছে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা; রসুনে ১০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। বাজারে সবজির দাম আগের মতোই চড়া।শুক্রবার রাজধানীর মগবাজার, মহাখালী ও কারওয়ান বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।

কারওয়ান বাজারের আদা-রসুন বিক্রেতা মহিন আলী জানান, দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে ৫-১০ টাকা করে বেড়েছে আদার দাম। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারে বেড়েছে। তবে আদার কোনো ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।গত তিন বছর সেপ্টেম্বরের শেষে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে।

এ বছর এ ধরনের কোনো লক্ষণ নেই। দাম না বেড়ে উল্টো কমেছে। এক মাসে পেঁয়াজের দাম কেজিতে মানভেদে ১০ টাকা পর্যন্ত কমছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা এবং আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

আমদানি করা আদার দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। খুচরা ব্যবসায়ী এসব আদার কেজি বিক্রি করছেন ১৭০ থেকে ২০০ টাকায়। এক মাস আগে এর দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। সে হিসাবে কেজিতে দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। দেশি আদার কেজি পাওয়া যেত ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, এক মাসে আদার দাম গড়ে ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

আদার সঙ্গে দাম বেড়েছে রসুনেরও। মাস খানেক আগে যে রসুনের কেজি (আমদানি করা বড় দানার) বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায়। দেশি রসুন কিনতে পাওয়া যাচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। এ ধরনের রসুনের কেজি মাসখানেক আগে কেনা গেছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

সবজির বাজার এখনও চড়া। শীতের সবজি ফুলকপি, পাতাকপি ও শিম পাওয়া যাচ্ছে। যদিও এগুলো সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। ছোট আকারের প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম রাখছেন ব্যবসায়ীরা ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। শিমের কেজি কিনতে খরচ হবে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। একই দাম টমেটোরও। গাজরের দাম আরেকটু বেশি। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আগের মতোই বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া কাঁকরোল, ঝিঙ্গে, করলা, বরবটিসহ বেশিরভাগ সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়।

এ বছর মৌসুমেও চালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। শুল্ক কমানো, আমদানির অনুমতি ও বাজারে তদারকি জোরদার করায় মাঝে সপ্তাহ দুয়েক কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছিল। তবে তা ধীরে ধীরে বেড়ে আবারও আগের অবস্থানে পৌঁছেছে। প্রতি কেজি সরু চাল ৬৫ থেকে ৭৫, মাঝারি চাল ৫৪ থেকে ৫৮ এবং মোটা চালের কেজি ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সম্প্রতি সরকার প্রতি কেজির দর ৮৪ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও বাজারে আগের বাড়তি দরেই বিক্রি হচ্ছে চিনি। খোলা প্রতি কেজির দাম রাখছেন বিক্রেতারা ৮৮ থেকে ৯০ টাকা। প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button