ইউক্রেনে তুলনামূলক কম ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে

রাশিয়ার এখন ইউক্রেনে তুলনামূলক কম ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন চেচনিয়া অঞ্চলের প্রধান রমজান কাদিরভ। শনিবার দোনেৎস্কর গুরুত্বপূর্ণ লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেন বাহিনী। সেখান থেকে সেনাদের সরিয়ে আনার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া।

এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেন বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সেরি চেরেভাতি বলেছেন, ‘আমাদের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, লিমান শহরে রাশিয়ার পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার সেনা ছিল। কিন্তু ইউক্রেনের বাহিনীর অভিযানে অনেক রুশ সেনা হতাহত হওয়ায় এ সংখ্যা এখন কমে এসেছে।’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়াকে রাশিয়ায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন। তার পরদিনই ইউক্রেনের বাহিনীর হাতে লিমান শহরের নিয়ন্ত্রণ হারালেন রুশ সেনারা।

ইউক্রেনে ব্যর্থতার জন্য রুশ সামরিক কমান্ডারদের সমালোচনা করে রমজান কাদিরভ এক টেলিগ্রাম বার্তায় লিখেছেন, ‘আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে, আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এটা হতে পারে সীমান্ত এলাকায় সামরিক আইন ঘোষণা করা ও কম ধ্বংসাত্মক পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার করা।’

যেহেতু রাশিয়া পূর্ব ইউক্রেনের লাইম্যানের শক্ত ঘাঁটি হারানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, কাদিরভ তাদের ব্যর্থতার জন্য শীর্ষ কমান্ডারদের নিন্দা করেছেন এবং টেলিগ্রামে লিখেছেন: “আমার ব্যক্তিগত মতে, সীমান্তে সামরিক আইন ঘোষণার আগে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। কম ক্ষতিকর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার”।

রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চল – যেখানে লাইম্যান অবস্থিত – সহ ডোনেস্ক, যেখানে রয়েছে – এবং তাদের রাশিয়ার পারমাণবিক ছাতার নীচে রাখার ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরে তিনি বলেছিলেন যে মস্কো যে অঞ্চলগুলো অন্তর্ভুক্ত করেছে “আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে এবং আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে রক্ষা করবে। রাশিয়ার কাছে বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রাগার রয়েছে, যার মধ্যে স্বল্প ক্ষতিকর কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে যা বিরোধী সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মোতায়েন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

Exit mobile version