সাগরপথে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার সময় ট্রলার ডুবি রোহিঙ্গাসহ ৩৪ জনকে উদ্ধার

গতকাল সোমবার মধ্যরাতে কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগর উপকূলে শতাধিক রোহিঙ্গা নিয়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।আজ মঙ্গলবার সকালে সাঁতার কেটে টেকনাফের বাহারছড়া সৈকতে ফেরেন ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৩১ রোহিঙ্গা যাত্রী।

এ ঘটনায় রোহিঙ্গাসহ ৩৪ জনকে উদ্ধার করেছেন বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তাদের মধ্যে ৪ জন বাংলাদেশি রয়েছে। অপর ৪ জন রোহিঙ্গা নারী ও ২৬ জন রোহিঙ্গা পুরুষ। এদের মধ্যে ৪ জন দালাল। বাকিরা কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।এখনও উদ্ধার কার্যক্রম চলছে।

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের কয়েকজন জানান, গভীর সমুদ্রে একটি বড় জাহাজ অপেক্ষা করছিল। ঐ জাহাজে ওঠানোর কথা বলে তিন দিন আগে দালাল চক্র শতাধিক রোহিঙ্গা নারী-পুরুষকে উখিয়ার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া ক্যাম্প থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে টেকনাফের বাহারছড়া গ্রামে।

গতকাল মধ্যরাতে বাহারছড়া সৈকতের বাইন্যাপাড়া ও হলবনিয়া এলাকা নিয়ে শতাধিক রোহিঙ্গাকে একটি ট্রলারে ওঠানো হয়। সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলারটি দুলছিল, কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় কিছু রোহিঙ্গা প্লাস্টিকের গ্যালন, কাঠের তক্তায় ভেসে ও সাঁতরে উপকূলে উঠতে সক্ষম হন। তবে অনেকে এখনো নিখোঁজ আছেন বলে জানান তাঁরা।

পুলিশ জানায়, অবৈধভাবে ট্রলারে চড়ে সমুদ্রপথে রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন। মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে মাথাপিছু ২০ থেকে ৪৫ হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

পুলিশ আরও জানায়, আজ সকাল সাতটার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের বাইন্যাপাড়া ও হলবনিয়া সমুদ্রসৈকত দিয়ে গ্রামে আসেন ৩১ জন রোহিঙ্গা। তাঁদের মধ্যে দুই নারীও আছেন। সাঁতরে তাঁরা কূলে উঠে আসতে সক্ষম হলেও অনেকে নিখোঁজ থাকতে পারেন। তাঁরা বর্তমানে বাহারছড়া পুলিশ ও কোস্টগার্ডের হেফাজতে আছেন।

পুলিশ ফাঁড়ি সূত্র থেকে জানা যায়, রোহিঙ্গাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাগরের লবণাক্ত পানি খেয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

Exit mobile version