স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ কমিউনিটি ট্রেনে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক কিশোরী। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হয় তাকে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নাইম (২৫),   সুমন (২১), নাজমুল (২৫), আনোয়ার (২০) ও রোমান প্রকাশ কালু (২২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, কিশোরীকে তার মা বাড়ি থেকে বের করে দেয়ায় সে শুক্রবার বিকাল ৩টার সময় নেত্রকোনা রেলওয়ে স্টেশনে আসে। সেখান থেকে হাওড় ট্রেন যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়।

ট্রেনটি ২ অথবা ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে থামলে ওই কিশোরী ট্রেন থেকে নেমে যায়। এরপর সে ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝামাঝি স্থানে বসে থাকে। ১০-১৫ মিনিট পর একজন যুবক এসে কিশোরীর সঙ্গে কথা বলে তার বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞেস করে। কথা বলার এক পর্যায়ে সে কিশোরীকে বলে, এখানে বসে থেকো না তাহলে সর্বনাশ হতে পারে।

এরপর ওই যুবক তাকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ২১ নম্বর পিলারের কাছে বসতে বলে এবং ওই কিশোরীকে বলে, কেউ কিছু জিজ্ঞাসা করলে সে যেন বলে, ইমরান ভাই বসিয়ে রেখেছে। তার কিছুক্ষণ পর ইমরান নামে ওই যুবক তাকে একটি পাটি বিছিয়ে দেয় ঘুমানোর জন্য। সেখানে ওই কিশোরী ঘুমিয়ে থাকে।

রাত সাড়ে ১২টার দিকে ইমরান এসে কিশোরীকে বলে, তার সর্বনাশ করার জন্য কয়েকটি যুবক পিছু লেগেছে। তাকে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা তুরাগ ট্রেনের ৭৪৪ নম্বর একটি বগির ভিতরে নিয়ে ট্রেনের পশ্চিম দিকের দরজা বন্ধ করে সে পূর্ব দিক দিয়ে বের হয়ে চলে যায়।

ওই কিশোরী বলেন, সঙ্গে সঙ্গে ৪ থেকে ৫ জন যুবক ট্রেনের জানালা দিয়ে বগির ভিতরে প্রবেশ করে আমার মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তারা একে অন্যের নাম ধরে ডেকেছিল। তারা চলে যাওয়ার সময় ওই কিশোরী চিৎকার করলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদাউস আহম্মেদ বিশ্বাস বলেন, কমলাপুর রেল স্টেশনে একটি ট্রেনে ১৭ বছরের এক কিশোরী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।

Exit mobile version