বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় দূর সম্পর্কের চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কিশোরী (১৫) ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মো. টিপু (২৫) উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের কালামুন্সি বাজার সংলগ্ন মালি পাড়া এলাকার নুরনবী মেম্বার বাড়ির রফিক উল্লার ছেলে।

শনিবার (৮ অক্টোবর) ঘটনার চারদিন পর রাত ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন বাস টার্মিনাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ অপর তিন আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে। পরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

কবিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাদা পোশাকে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছে। আমরা তাকে আদালতে সোপর্দ করবো।প্রসঙ্গত, গত ৪ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রতিবেশী চাচাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে রাত ২টার দিকে ওই কিশোরীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

নির্যাতিতার বরাত দিয়ে তার মা অভিযোগ করে বলেন, আগামী বৃহস্পতিবার টিপুর বিয়ে ছিল। বিয়ে বাড়িতে আসার পর রান্নার জন্য লাকড়ি লাগবে বলে তার মামাদের ছাদে মেয়েকে ডেকে নিয়ে যায় টিপু। ছাদে নিয়ে ওড়না দিয়ে তার মুখ বেঁধে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। এ সময় রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে যায় তার মেয়ে। এ ঘটনায় টিপুর মা-বাবাকে জানাতে গেলে তাকে ও তার স্বামীকে মারধর করে জখম করে টিপুর পরিবারের লোকজন। অভিযুক্ত টিপুকে দ্রুত গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি।

কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করতে বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version