রাজবাড়ীতে গ্রেপ্তার সোনিয়া আক্তারের বাড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মী
ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে রাজবাড়ীতে গ্রেপ্তার সোনিয়া আক্তার ওরফে স্মৃতির বাড়িতে গেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা-কর্মীরা। গতকাল রোববার সকালে দুই দফায় কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা রাজবাড়ী শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকায় সোনিয়ার বাড়িতে গিয়ে তাঁর দুই সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন। এ সময় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে সোনিয়ার বাড়িতে যান মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। এ সময় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, সদস্যসচিব কামরুল আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেপ্তার সোনিয়া আক্তার রাজবাড়ী ব্লাড ডোনার্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা মহিলা দলের সদস্য। তাঁর স্বামী প্রবাসী। গত মঙ্গলবার রাতে শহরের ৩ নম্বর বেড়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার বিকেলে সোনিয়াকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী কারাগারে আছেন।
গত বৃহস্পতিবারও দুই দফায় সোনিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন বিএনপি ও মহিলা দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। রাজবাড়ী সদর থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক সামসুল আরেফিন চৌধুরী সোনিয়ার ফেসবুক পোস্টের বিষয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়। সোনিয়া আক্তার প্রায় এক মাস আগে ফেসবুকে ওই পোস্ট দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ সূত্রে জানা যায়।
এর আগে রোববার দুপুর ১২টার দিকে শহরের আজাদী ময়দানে দলীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় করেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এ সময় বিএনপির নেতারা বলেন, দেশে এখন কোনো গণতন্ত্র নেই। সাধারণ মানুষের বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সরকার কোনো ধরনের সমালোচনা সহ্য করতে পারে না।
এসব কারণেই রাতের আঁধারে সোনিয়াকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অথচ তাঁর ছোট ছোট দুটি বাচ্চার কথা কেউ চিন্তা করেনি। বক্তারা বলেন, তাঁরা সোনিয়ার পাশে আছেন। তাঁকে কারাগার থেকে বের করে আনার জন্য আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। পাশাপাশি রাজপথেও দাবি আদায়ে সোচ্চার থাকবেন।