বিয়েবাড়িতে কিশোরী ধর্ষণ,দায়স্বীকার করে আসামীর আদালতে জবানবন্দি

নোয়াখালীর কবিরহাটে বিয়ে বাড়িতে কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. টিপু আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। রোববার (৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ১ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মহিবুল্লাহর আদালতে এ স্বীকারোক্তি দেন তিনি।

গতকাল দুপুরে টিপুকে আদালতে হাজির করে তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহবুবুল আলম। সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মহিববুল্লাহ আসামি টিপুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালতের নির্দেশে আসামিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

নোয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শনিবার (৮ অক্টোবর) গভীর রাতে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

ঐ কিশোরীর পরিবার জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কিশোরীটি তার পরিবারের সঙ্গে একই উপজেলার এক আত্মীয়ের বিয়ের গায়েহলুদ অনুষ্ঠানে যায়। একই আত্মীয়ের গায়ে হলুদে যান টিপু।রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাওয়া শেষে ঐ কিশোরীকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খুঁজতে থাকে। রাত ১১টার দিকে টিপুর মামি কমলা বেগমকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ঐ কিশোরী তাদের ছাদের ওপর রয়েছে। কমলার কাছ থেকে এমন তথ্য পেয়ে দ্রুত ছাদে গিয়ে গায়ের ওড়না দিয়ে মুখ বাঁধা অবস্থায় কিশোরীকে দেখতে পান তিনি।

এ সময় দ্রুত এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে লাফিয়ে পালিয়ে যান টিপু। পরে লোকজনের সহযোগিতায় নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে প্রথমে কবিরহাট ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরী ও তার পরিবার।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত টিপু, তাঁর মা-বাবাসহ চারজনকে আসামি করে কবিরহাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন।মামলার অপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানায়।

Exit mobile version