সুনামগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৫) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার পর গতকাল রাতেই এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম অনিক মিয়া (২৬)। তিনি উপজেলার চামরদানী ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। গতকাল রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে উপজেলার মধ্যনগর বাজার থেকে অনিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কিশোরীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে সহজ–সরল প্রকৃতির। সে অপ্রাপ্তবয়স্ক। আমার মেয়েকে নানাভাবে ফুসলিয়ে ও বিয়ের কথা বলে অনিক মিয়া তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় সুবিচার চেয়ে আমি থানায় অনিককে আসামিকে থানায় একটি মামলা করেছি।’

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ছয় মাস আগে ওই কিশোরী স্থানীয় কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়। অভিযুক্ত অনিক মিয়া ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। একপর্যায়ে অনিক মিয়ার সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে ওই কিশোরীকে বিয়ের কথা বলে কোচিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় নিয়ে অনিক মিয়া তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।

সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার একটি হোটেলে নিয়ে ওই কিশোরীকে অনিক আবার ধর্ষণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।বিষয়টি কিশোরীর পরিবার জানতে পারলে তাঁরা মেয়ের সঙ্গে অনিককে বিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। কিন্তু অনিক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ও ধর্ষণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রাতে অনিককে আসামি করে মধ্যনগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল হক বলেন, আজ সোমবার সকালে ধর্ষণ মামলার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই কিশোরীকে সুনামগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version