টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের নলুয়া গ্রাম থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। একই সময় ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী জানায়, সুমনের ছোট ভাই ও আমি একই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি। তার ছোট ভাই বিভিন্ন সময় আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিত। পরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শুক্রবার আমাকে অপহরণ করে প্রথমে গাজীপুরের টঙ্গী এবং পরে সাভার তাদের আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায়। টঙ্গীতেই তার সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে এক সঙ্গেই আমরা সাভার ও গাজীপুরে থেকেছি। পরে নলুয়াতে আসলে পুলিশ আমাদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।
গ্রেফতাররা হলো-ভূঞাপুর পৌরসভার পলিশা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে সুমন (২২) ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তার ছোট ভাই। এরআগে গত শনিবার (৮ অক্টোবর) রাতে সনাতন ধর্মাবলম্বী স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে চারজনের নামে ভুঞাপুর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
ভূঞাপুর থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘অপহরণকারীরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মেয়েটিকে উদ্ধারসহ দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
ভূঞাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘মেয়েটিকে উদ্ধারসহ অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার দুই ভাইকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।’
স্কুলছাত্রীর মা জানান, নাবালিকা মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা দরিদ্র পরিবার। পরে থানায় মামলা করলে পুলিশ অপহরণকারী সুমন ও তার ভাইকে গ্রেফতার করে এবং আমার মেয়েকে উদ্ধার করে। আসামিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি।