নেপাল থেকে পাঁচশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশঃবাণিজ্য মন্ত্রী

আজ বুধবার ঢাকায় সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের অ্যাম্বাসাডর ঘানশেয়াম ভান্ডারির সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানায়, নেপালের হাইড্রোলিক পাওয়ার প্লান্টে উৎপাদিত প্রায় পাঁচশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার বিষয়টি ইতোমধ্যে চূড়ান্ত হয়েছে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেপাল বন্ধু রাষ্ট্র। বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ প্রতি বছর নেপালে বেড়াতে যান। দেশটিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, খাদ্যপণ্য, পেপার এবং পেপার বন্ড, পাটজাত পণ্য, ওষুধ, প্লাসটিক পণ্য, ইলেকট্রনিক পণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

ব্যবসায়ীদের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক সুবিধা সৃষ্টি এবং সফর বিনিময়ের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।এক্ষেত্রে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের ফলে যোগাযোগ ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে বলে দাবি করেন মন্ত্রী।

জবাবে নেপালের অ্যাম্বাসাডর বলেন, ‘উভয় দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ চালুর ফলে এতে নতুনমাত্রা যুক্ত হবে। মোংলা, বাংলাবান্ধা ও বেনাপোল বন্দর ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ ও লাভজনক করবে। পদ্মা সেতুরও সুফল পাওয়া যাবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নেপালের সক্ষমতা খুবই কম, তাই বাংলাদেশ পণ্যের শুল্কায়ন সহজ করলে বাণিজ্য বাড়বে।’

বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরের প্রস্তাব দিয়েছে। নেপাল এ বিষয়ে কাজ করছে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বাড়বে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। উভয় দেশের বাণিজ্য এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কম হলেও এ বাণিজ্য বৃদ্ধির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য নেপালে রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৪.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। উভয় দেশ উদ্যোগ গ্রহণ করলে বাণিজ্য বৃদ্ধি করা সম্ভব।

Exit mobile version