বাকৃবি প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলটির প্রধান ফটকের সামনের রাস্তা অবরোধ করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বেগম রোকেয়া হলের শিক্ষার্থীরা।এতে ময়মনসিংহের ব্রিজ মোড় থেকে সুতিয়াখালী অভিমুখী যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এর আগেও সিটের সমস্যা নিয়ে আন্দোলন করা হয়েছিল। সেখানে আন্দোলনের মীমাংসায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল—লেভেল-৩-এর শিক্ষার্থীদের আগে সিট দেওয়া হবে, এরপর লেভেল-২ শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে। কিন্তু এখন লেভেল-৩-এর শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে অবৈধভাবে  লেভেল-২-এর ২০ জনকে সিট দেওয়া হয়েছে।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বিনা শর্তে বেগম রোকেয়া হলের প্রভোস্টসহ হল প্রশাসনের পদত্যাগ দাবি করেন। সেইসঙ্গে এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে সবার সামনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে প্রভোস্টের যথাযোগ্য শাস্তির দাবি জানান।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের মূল ভবনের এক রাজনৈতিক নেত্রী এক শিক্ষার্থীকে বলেছেন, বর্তমান হল প্রভোস্ট তার কথায় সিট দেন। যে শিক্ষার্থীকে তিনি এ কথা বলেছেন, পরবর্তী সময়ে তার সিটের ব্যবস্থাও করেছেন ওই নেত্রী। ওই নেত্রী আরও বলেছেন, পুরোনো বিল্ডিংয়ের কাউকে নতুন বিল্ডিংয়ে তারা সিট দিতে চান না। এসব অভিযোগের যথাযোগ্য প্রমাণ আছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। আমি সব সময় নিয়ম অনুযায়ী সবকিছু করার চেষ্টা করি।’

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন, সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আফরিনা মুস্তারি ও ড. শফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেন। পরে রোববার ১২টার মধ্যে প্রভোস্ট পদত্যাগ করবেন শর্তে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ প্রত্যাহার করে হলে ফিরে যান।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে শিক্ষার্থীদের হলে ফিরিয়েছি। তাদের অভিযোগ শুনেছি। সার্বিকভাবে সব বিষয় পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Exit mobile version