রুশ সাংবাদিক মেরিনা ওভস্যানিকোভা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন

রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল ওয়ানের সাংবাদিক মেরিনা ওভস্যানিকোভা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আজ সোমবার ওভস্যানিকোভার আইনজীবী দিমিত্রি জাখভাতভ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বর্তমানে তিনি ইউরোপের একটি রাষ্ট্রের হেফাজতে রয়েছেন। তবে তিনি ঠিক কোথায় আছেন তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনের অভিযোগে গৃহবন্দি অবস্থায় ছিলেন তিনি। দ্য মস্কো টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটা জানানো হয়।মার্চে সরাসরি সম্প্রচারের সময় তিনি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানান এবং বলেন তারা (রুশ কর্তৃপক্ষ) আপনাকে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করছে।

মেরিনা ওভসানিকোভাকে ৩০ সেপ্টেম্বর দুই মাসের জন্য গৃহবন্দী থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়ানোর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের সম্মুখীন হতে হবে।

ওভসানিকোভা বলেন, ‘আমি নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ মনে করি। যেহেতু আমাদের রাষ্ট্র তার নিজস্ব আইন মেনে চলতে অস্বীকার করে, তাই আমিও ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে আমার ওপর আরোপিত নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করে নিজেকে এ থেকে মুক্ত করে নিচ্ছি।

পালিয়ে যাওয়ার সময় ওভস্যানিকোভা তার কন্যাকেও নিয়ে যান। তবে তার ছেলে এখনো রাশিয়াতে অবস্থান করছে। রুশ সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে অপপ্রচারের অভিযোগে তার ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

৫ অক্টোবর এক অনলাইন পোস্টে তিনি জানান, তিনি গৃহবন্দি অবস্থা থেকে পালিয়ে গেছেন। কারণ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় জবাব দেওয়ার মতো কিছু ছিল না।

তার এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় ক্রেমলিন। এ বক্তব্যকে গুণ্ডামি বলেও অবহিত করে রুশ প্রতিরক্ষা দপ্তর। তবে আগস্টের আগ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ।

আগস্টে ক্রেমলিনের সামনে একটি যুদ্ধবিরোধী সমাবেশে পোস্টার নিয়ে অংশগ্রহণ করলে তাকে গৃহবন্দি করা হয়। সমাবেশে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যাকারী ও রুশ সেনাদের ফ্যাসিস্ট বলে মন্তব্য করেন।

মেরিনা ওভসানিকোভার আইনজীবী বলেছেন, বুধবার সকালে একটি জেলা আদালতে শুনানির জন্য তার উপস্থিত থাকার কথা ছিল। কিন্তু তদন্তকারীরা তাকে খুঁজে পাননি।

ওভস্যানিকোভার আইনজীবী জানান, খুব দ্রুতই সবকিছু জানানো হবে। এ জন্য কয়েক সপ্তাহ সময় প্রয়োজন।

Exit mobile version