জাতীয়বাংলাদেশবিদ্যুৎ ও জ্বালানীরাজধানী

গভীর রাতেও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী

প্রায় সারা দেশে লোডশেডিংয়ের কারণে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ জনগণ । রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় গতকাল  এক থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। তবে ১২ ঘণ্টার সম্ভাব্য লোডশেডিং ধরা হয় শুধু শ্যামপুরের কয়েকটি স্থানে।ডিপিডিসি’র দেয়া সম্ভাব্য সূচিতে দেখা যায় ঐ এলাকায় প্রতি এক ঘণ্টা পর এক ঘণ্টা লোডশেডিং দেখানো হয়। ঐ এলাকার বাসিন্দারাও এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় গত ১৮ই জুলাই। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ১৯শে জুলাই থেকে দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হয়। ডিপিডিসি’র কর্মকর্তারা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সপ্তাহে দুইদিন শ্যামপুর শিল্প কারখানা বন্ধ থাকে।

গত তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি লোডশেডিং হচ্ছে এখন। কোথাও কোথাও দিনে পাঁচবার লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কিছুদিন ধরে পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডেসকো’র এমডি আমির কাউসার আলী।

গতকাল ডিপিডিসির আওতাধীন বেশির ভাগ এলাকায় তিন থেকে চার ঘণ্টা লোডশেডিং করা হয়। তালিকায় এমনটাই দেখা গেছে। তবে রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা দুই প্রতিষ্ঠানই বলেছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই সূচির পরিবর্তন হতে পারে।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)’র হিসাব অনুযায়ী,  গতকাল ঢাকায় লোডশেডিং হয়েছিল ৪৮০ মেগাওয়াট। এই দিন সারা দেশে সন্ধ্যায় বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ধরা হয় ১৩ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। এই সময়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ উৎপাদন ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৫৬০ মেগাওয়াট। তাতে লোডশেডিং ধরা হয় ১ হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট। প্রাক্কলিত সর্বনিম্ন উৎপাদন ধরা হয় ৯ হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুতের।

চলতি মাসে গরম বেড়েছে।লোডশেডিং আরও বেড়েছে।এই দুই মিলিয়ে রাজধানীবাসীর অবস্থা নাকাল। দেশের অন্যত্রও পরিস্থিতি নাজুক।বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দেশে গত ২৪শে আগস্ট থেকে অফিস-আদালত সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চলছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে দুইদিন ছুটি ভোগ করছে। তারপরেও কেন বিদ্যুতের লোডশেডিং, প্রশ্ন সাধারণের।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button