‘গুটি’ ওয়েব সিরিজে নতুন লুকে আজমেরী হক বাঁধন

কান চলচ্চিত্র উৎসব মাতিয়ে আসার পর থেকেই একের পর এক চমক দেখাচ্ছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এবার ওয়েব সিরিজের জন্য নতুন লুকে হাজির হচ্ছেন তিনি। তার নতুন লুক দেখা যাবে ‘গুটি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে।

বাঁধন বলেন, ‘কাজটা আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হতে যাচ্ছে। কতটা চ্যালেঞ্জিং সেটা আসলে দর্শক দেখলেই বুঝতে পারবে। আমি আসলে খুব খুশি আর কৃতজ্ঞ যে, চরকি নারী চরিত্র প্রধান কাজ প্রডিউস করেছে।’বাঁধন আরও বলেন, ‘গুটি’র গল্পটা শঙ্খ খুব দুর্দান্তভাবে সাজিয়েছেন। তিনি খুবই ব্রিলিয়ান্ট একজন নির্মাতা। একদম ভিন্ন প্লট, ভিন্ন চরিত্র, ভিন্ন ধরনের একটা গল্প তিনি ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন। এখানে আমি সুলতানা নামে একজন ড্রাগ ডিলারের চরিত্রে কাজ করেছি। চরিত্রটা নিয়ে শঙ্খর সাথে আমার দীর্ঘদিন ধরে আলাপ চলেছে।‘

প্রযোজনা সংস্থা চরকি জানায়, শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে ‘গুটি’ সিরিজের শুটিং। পরিচালনা করছেন শঙ্খ দাসগুপ্ত। আর এই সিরিজের প্রধান চরিত্রে থাকছেন আজমেরী হক বাঁধন। পরিচালক শঙ্খ ও অভিনেত্রী বাঁধন দুজনেরই চরকিতে এটি প্রথম কাজ হতে যাচ্ছে।

শুটিংয়ে যাওয়ার আগে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কীভাবে পুরো দলকে নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছেন সে বিষয়ে পরিচালক শঙ্খ দাসগুপ্ত বলেন, ‘চরকির সাথে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাজটার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে আছি। এখন পর্যন্ত আমাদের স্ক্রিপ্টের ৭ নম্বর ড্রাফট হয়েছে। এখন কাস্টিংদের নিয়ে প্রতিদিন রিডিং রিহার্সেল হচ্ছে।’

বাঁধন বলেন,  ‘আমি এই চরিত্রটা অনেকদিন ধরে নিজের মধ্যে ধারণ করছি। ইভেন একদম প্রথমে আমার যে লুক টেস্ট হয়েছিল সেটার কস্টিউম পুরা আমি করেছিলাম। কী ওড়না পরব, কী রঙের কাপড় পরব, কোনটা পরলে একদম ওই ক্যারেক্টারের মতো লাগবে এগুলো নিয়ে পরিচালকের সাথে আমার ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।’

রিহার্সেল করার কথা জানিয়ে বাঁধন বলেন, ‘সিরিজে কাস্টিং কিন্তু খুব ইন্টারেস্টিং। আমরা সবাই নিয়মিত একসাথে বসে রিহার্সেল করছি। রিহার্সেলটা প্রপার হলে শুটিংয়ে গিয়ে সবার অনেক কষ্ট কমে যায়।‘

দর্শকদের উদ্দেশে বাঁধন বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিমেল লিডের কাজ চলে না, এই কথাটা আসলে শুনতে চাই না। কারণ এই কথাটা আমি যখন শুনেছি তখন প্রচণ্ড হার্ট হয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, আগামী ১-২ বছরের মধ্যে এই ধারণার পরিবর্তন হবে। আমরা আমাদের কাজ দিয়েই এই চিন্তার পরিবর্তন করতে পারব। দর্শককেও নতুন কিছু দিতে পারব।’

পরিচালক জানান, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাসহ ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং হবে। যে যে অঞ্চলে শুট করা হবে সেখানকার লোকাল আর্টিস্টদের কাস্ট করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘রিজিওনাল জায়গা থেকেও যেন এর একটা আলাদা এক্সেপ্টেন্স তৈরি হয় সেটাও আমরা খেয়াল রাখছি। এখন টেকনিক্যালি কাজটাকে কতটা ডিভাইস করা যায় সেদিকেই আমাদের সবার খেয়াল।’

Exit mobile version