এক্সক্লুসিভখুলনাজাতীয়ঢাকাবাংলাদেশরাজনীতি

মালিক শ্রমিকরা রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে বলে ধর্মঘট করে না

খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে যানবাহন বন্ধের ব্যাপারে রাষ্ট্রীয় পরিবহন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, দেশের কোথাও গাড়ি বন্ধের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা কিছু জানি না। কেউ আমাদের কাছে কোনো দাবি-দাওয়াও জানায়নি। মালিক শ্রমিকরা আমাদের বলে ধর্মঘট করে না।

একজন সাংবাদিক তাকে বলেন, “যেখানেই সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল সমাবেশের ডাক দিচ্ছে, সেখানেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন, তারা তো জিম্মি হয়ে যাচ্ছেন। এটা কী নাগরিক অধিকার পরিপন্থি নয়? ময়মনসিংহে একই অবস্থা ছিল, এখন খুলনার মানুষ এই ভোগান্তিতে পড়েছে। এক্ষেত্রে কী বিআরটিএর কোনো ভূমিকা নেই?”

এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে দৃশ্যত কিছুটা বিব্রত বিআরটিএর চেয়ারম্যান পাল্টা প্রশ্ন করেন, “আপনার প্রশ্নটা কি এখানে প্রাসঙ্গিক?”জবাবে প্রশ্নকারী সাংবাদিক বলেন, “অবশ্যই, গণপরিবহন সচল রাখা আপনাদের দায়িত্ব। মালিকারা ইচ্ছে করলেই তো এমন করতে পারে না।”

আজ শুক্রবার জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।পথচারীরা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করেন না, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করেন না। আর এজন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে বলে মনে করেন নূর মোহাম্মদ মজুমদার।

বিআরটিএ কী কোনো রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল যেখানেই সমাবেশ করে, সেখানেই গাড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে জনসাধারণ ভোগান্তিতে পড়ছে, জিম্মি হচ্ছে।

পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বিআরটিএর ম্যাজিস্ট্রেট সপ্তাহে ছয় দিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এর বাইরে জেলা প্রশাসকরাও করেন। পুলিশ সদস্যাও কিন্তু রাস্তাঘাটে ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, অপ্রাপ্তবয়স্করা মোটরসাইকেল চালাচ্ছে, আবার অনেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াও চালাচ্ছে। এজন্যই দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। আইন করা হয়েছে আইন মানার জন্য। সেটা মানতে হবে এবং সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সবাইকে আইন মানার পরামর্শ দিয়ে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আইন সবাইকে মেনে চলতে হবে। ১৭ কোটি মানুষের জন্য আমাদের এনফোর্সমেন্টে অত জনবল নেই। আমরা প্রত্যেকে যদি আইন মেনে চলি তাহলে এখানে আর এনফোর্সমেন্টের প্রয়োজন হয় না। এরপরেও এনফোর্সমেন্টের প্রয়োজন রয়েছে, যারা আইন না মানে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button