চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াত। এতে দলটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলোত্তর সমাবেশে অধ্যক্ষ নুরুল আমীন বলেন, সরকারের উন্নয়নের ফাঁকা বুলি অধ্যায় শেষ, এখন তারা নিজেরাই বলছে সামনে অর্থনৈতিক বিপর্যয়। এই বিপর্যয়ের পেছনে একটাই কারণ সেটি হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলের লোকদের দুর্নীতি। তাদের কারসাজির কারণে দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বেড়েই চলেছে।

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ী মহল পণ্যের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটছে। অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।তিনি আরও বলেন, রাতের ভোটে নির্বাচিত এ সরকার জনগণের কোনো কষ্ট বুঝে না। তাই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে এই সরকারের কোনো কিছু যায় আসে না।অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনরোষ থেকে বাঁচুন।

আজ শনিবার সকালে দলটির চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এতে অন্যদের মধ্যে নগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও এফএম ইউনুছ, সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ মুহাম্মদ শামসুজ্জামান হেলালী উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী-এমপিদের বিভিন্ন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে অধ্যক্ষ নুরুল আমিন  বলেন, সরকারের কিছু মন্ত্রী দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে মিডিয়ায় এসে উপহাসমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। ফলে নিত্যপণ্যের দাম আরোও বেড়ে চলেছে। সেই সাথে বিলাসবহুল সামগ্রীর দাম কমিয়ে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার জনগণের সরকার নয়, জনগণের ভোটের মাধ্যমে এই সরকার ক্ষমতায় আসেনি। দুই দুইবার বিনা ভোটে ও রাতের অন্ধকারে ব্যালট পেপারে সিল দিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ আর এক মুহূর্তের জন্য এই সরকারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সাধারণ মানুষকে সাথে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে বাংলাদেশে জনগণের সরকার গঠন করবে ইনশাআল্লাহ।

Exit mobile version