আওয়ামী লীগবিএনপিরাজধানীরাজনীতি

তারা উস্কানি দিয়ে লাশ ফেললে সরকার দায়ী থাকবে নাঃওবায়দুল কাদের

গতকাল রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি  তাদের আন্দোলন জমাতে উস্কানি দিয়ে লাশ ফেলতে চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তারা উস্কানি দিয়ে লাশ ফেলতে চাইলে সরকার দায়ী থাকবে না। তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেবো না।২০১৩-১৪’র মতো সহিংসতা করতে চাইলে তার সমুচিত জবাব দেয়া হবে। বিএনপি রাজপথ দখলে নিয়েছে বলে যে দাবি করেছে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজপথ, সেটা রাজধানী ঢাকার রাজপথে সময় হলে দেখা যাবে। আমি তো তাদের বলেছি, আপনারা খেলতে চান? আসুন মাঠে। রাজপথ আমরা কাউকে ইজারা দেই নাই।

আওয়ামী লীগ সরকার দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশটা শান্তিতে থাকুক, মানুষ স্বস্তিতে থাকুক, সেটাই আমরা চাই। আমরা চাই না দেশে অশান্তি হোক, বিশৃঙ্খলা হোক। সেটা তো ক্ষমতাসীন দল হিসেবে আমাদেরই ক্ষতি।আমরা ক্ষতিটা কেন গায়ে পড়ে ডেকে আনবো? আমরা সামাল দেয়ার চেষ্টা করছি।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের রাজপথের চেতনা আমরা ধারণ করি।বিজয়ের চেতনা বিএনপি’র নেই। কাজেই রাজপথের যে মোকাবিলা, বিএনপি’র এখানে চ্যালেঞ্জ করার কোনো কিছু নেই।ডিসেম্বর মাস আসুক, আমরা ক্ষমতায় আছি। আমরা হুট করে মাথা গরম করবো- এটা উচিত নয়।

‘খুলনার বিএনপি’র সমাবেশে গাড়ি চলাচল বন্ধ করা নিয়ে তিনি বলেন, শ্রমিক ফেডারেশন কখনো ধর্মঘট ডাকে না। গত ১২ বছরে ডাকে নাই। এটা বিএনপি এক সময় শুরু করেছিল।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেবেন না। এই মন্ত্রণালয়ের কোথাও দুর্নীতিবাজ থাকতে পারবে না। এদের চিহ্নিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক, কেন তদন্ত করে না। যেখানে দুর্নীতি হয় সেখানে তদন্ত করতেই হবে। আমি সবাইকে বলছি, কাজ করুন। দুর্ঘটনা-যানজট কমান।

তিনি বলেন, আইন করেছি ৩ চাকার গাড়ি মহাসড়কে চলবে না, কিন্তু কে শোনে কার কথা। আমি এক পথে যাই, খবর পাই, তখন সব ক্লিন। আবার আমি যখন রাস্তা অতিক্রম করি, আবার সেই পুরনো চিত্র। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের চেয়ে কমলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার আগের চেয়ে বাড়ছে।এটা হলো বাস্তবতা, অস্বীকার করে লাভ নেই। আজ এত স্থাপনা সারা বাংলাদেশে, এত আন্ডারপাস, ওভারপাস, মেট্রোরেল, পদ্মা সেতু, টানেল সবই হচ্ছে। তারপরও শৃঙ্খলা  কেন নেই? শৃঙ্খলা না থাকলে সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে। উন্নয়নের অবকাঠামো, এত সাফল্য সব ম্লান হয়ে যাবে যদি আমরা সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে না পারি।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, রাস্তা করি, বৃষ্টি হলে রাস্তা নেই, টাকা কোথায় যায়? এ টাকা সরকারের টাকা, জনগণের ট্যাক্সের টাকা। সচিব সাহেব, এই মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতিবাজ থাকবে না, দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করুক। যেখানে দুর্নীতি হয়, সেখানে তদন্ত করতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার মতো সৎ নেতা চাই। তার মতো সততা, ভালো মানুষ পঁচাত্তরের পরে একজনও আসেনি। ক’জন জনপ্রতিনিধি জনগণের ভাগ্য উন্নয়ন, ক’জন পকেটের উন্নয়ন করেন সে হিসাব দিতে হবে। শেখ হাসিনা নিজে সৎ থাকবেন, অন্যরা পকেটের উন্নয়ন করবে- সেটা হবে না।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমি বুকে হাত দিয়ে বলবো, ৫ বছর আগে ছিলাম প্রতিমন্ত্রী, এবার ১১ বছর হয়ে গেল।  কোনো পারসেন্টেজ, কোনো কমিশন কখনো নেইনি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button