জি এম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না

আসন্ন সংসদ অধিবেশনে জি এম কাদেরের উপনেতার আসনটি সরে যাবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা। তিনি বলেন, ‘বেগম রওশন এরশাদের চেয়ারের পাশে তিনি আর বসতে পারবেন না। রওশন এরশাদের পাশের চেয়ারে বসবেন অন্য কেউ। সে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জি এম কাদেরের চেয়ার কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’ ওই সময় পার্টি অফিস থেকে জি এম কাদেরকে জুতাপেটা করে তাড়ানো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন জাপার সাবেক এই মহাসচিব।জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ রোববার জাতীয় পার্টি (রওশনপন্থি) আয়োজিত উপজেলা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির অবৈধ চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদের আছেন—এমন মন্তব্য করে জাপা মূল দল থেকে বহিষ্কৃত এই নেতা বলেন, ‘জাতীয় পার্টির সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন জি এম কাদের। সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫ কোটি করে টাকা নিচ্ছেন।

তিনি আর বলেন, বিএনপির জোটে যাবেন, সে জন্য তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জি এম কাদের। আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন সেখান থেকেও টাকা নিচ্ছেন। দুই নৌকায় পা রেখে রাজনীতি হয় না। জি এম কাদের তাই করছেন।‘আমি প্রশ্ন করতে চাই, জি এম কাদের সাহেব আপনার কত টাকা প্রয়োজন? সরকারের মন্ত্রী থাকা অবস্থায় অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন। টাকাগুলো কী করছেন?’

বিরোধী দলের চিফ হুইপ বলেন, ‘আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির নেতৃত্বের পরিবর্তন হবে। সেখান থেকে বিদায় নেবেন জি এম কাদের। জি এম কাদেরের সঙ্গে তিনজন এমপি ছাড়া আর কেউ নেই। আগামী ২৬ নভেম্বর রওশন এরশাদের ডাকা জাতীয় কাউন্সিলের আগেই এমপিরা কোন দিকে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। তাই এ বিষয় নিয়ে আর সংশয় থাকবেন না।‘সময়মতো আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে যাব। বনানী ও কাকরাইল অফিস আমাদের হবে। জি এম কাদেরকে জুতাপেটা করে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে।’

আলোচনা সভায় কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘জি এম কাদেরের চারপাশে রয়েছে চাটুকারের দল। তারা জাতীয় পার্টিকে বাণিজ্যের প্ল্যাটফর্ম বানিয়েছেন। এই কালো থাবা থেকে জাতীয় পার্টিকে মুক্ত করতে হবে।’এস এম আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন—জিয়াউল হক মৃধা, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন, এম এ গোফরান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজুসহ অনেকে।

মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘‘জি এম কাদের কখনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের একজন কর্মচারী। সেখান থেকে তিনি রাজনীতিতে এসেছেন। পেট্রোলিয়াম করপোরেশন থেকে দুর্নীতির দায়ে তার চাকরি চলে যায়। অথচ তিনি নিজেকে ক্লিন ইমেজ হিসেবে দাবি করেন। নামের পেছনে জনবন্ধু লেখেন, তার নির্বাচনী নিজ এলাকায় ‘জনশত্রু’ হিসেবে পরিচিত।”

মসিউর রহমান রাঙ্গা আরও বলেন, ‘জি এম কাদের এরশাদ সাহেবের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে চান না। কারণ এরশাদ সাহেব তাকে দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে পাঁচবার বহিষ্কার করেছিলেন। সেই ক্ষোভ থেকে এরশাদ সাহেবের চিহ্ন মুছে ফেলতে চাচ্ছেন তিনি।’

Exit mobile version