অপরাধএক্সক্লুসিভএশিয়াবিশ্ব সংবাদ

মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে কনসার্টে বিমান হামলায় ৮০ জন নিহত

মিয়ানমারের কাচিন প্রদেশে বিমান হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। রোববার রাতে সেখানে আয়োজিত একটি কনসার্টে ওই হামলা চালানো হয়। এতে কনসার্টের প্রধান শিল্পীও নিহত হন। কাচিন জাতিগোষ্ঠীর প্রধান রাজনৈতিক সংগঠন কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন ওই কনসার্টের আয়োজন করেছিল। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।

মিয়ানমার সংকট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ায় ২৭ অক্টোবর একটি শীর্ষ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে। এতে উপস্থিত থাকবেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। ইন্দোনেশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ান সচিবালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।বৈঠকের মাত্র তিনদিন আগে নাগরিকদের ওপর ভয়াবহ এ হামলা চালানো হলো।কাচিনের হপাকান্ত শহরে সংগীত উৎসবে জান্তা বাহিনীর বিমান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়।

মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো অনেক আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিল যে মিয়ানমার সরকার তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা দিয়ে বেসামরিক টার্গেটে আক্রমণ করছে। রোববারের এই ঘটনা এখন পর্যন্ত জান্তা সরকারের এবারের আমলের সবথেকে নৃশংস হামলা। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে অব্যাহত ভাবে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

স্পেনে নির্বাসিত মিয়ানমারের একজন সাংবাদিক তার ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে বিমান হামলার তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সামরিক বিমান রোববার সন্ধ্যায় কনসার্ট চলাকালে চারটি বোমা ফেলে, যেখানে সঙ্গীতশিল্পীসহ তিনশ থেকে পাঁচশ জনের মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তারা সংগীত শিল্পী, সাধারণ মানুষ, কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালায়।

রোববারের হামলার বিষয়টি স্বীকার করেছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীও। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘সন্ত্রাস’ দমন করতেই এ হামলা চালিয়েছে তারা। হামলার টার্গেট ছিল কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মির নবম ব্রিগেডের হেড কোয়ার্টার। এটিকে ‘প্রয়োজনীয়’ বলে আখ্যায়িত করেছে তারা। তবে কনসার্টে হামলা করার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি। রাজনৈতিক সংকট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশটিতে। এ পর্যন্ত দেশটির জনগণের সঙ্গে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ২০০ মানুষ। আগামী মাসে আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন। তাতে মিয়ানমারের শান্তি ইস্যুটি অগ্রাধিকার পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button