অন্যান্য দলআওয়ামী লীগঢাকাবাংলাদেশরাজধানীরাজনীতি

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ হারাতে পারবে না

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সবাইকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি, এ দেশে আমাদের কেউ হারাতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে আমরাই বিজয়ের বন্দরে পৌঁছে যাব।’ এ সময় ১৪ দল ঐক্যবদ্ধ আছে বলেও দাবি করেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ হারাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। সমাবেশে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ১৪ দলের বিভিন্ন শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৪ দল, ইনু ভাই, আপনারা ঠিক থাকুন। ভুলত্রুটি রাজনীতিতে আপনাদেরও আছে। আমরা ভ্রান্ত, সে কথাও আমি বলব না। কিন্তু আজ বাঙালি জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন। যারা বাংলার মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে চায়, তারা আবারও ক্ষমতায় আসবে?’

জাসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। সেই বাণীতে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের ক্ষমতা দখলের অপরাজনীতি রুখতে এবং রাজনৈতিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে জাসদের বলিষ্ঠ ভূমিকা কামনা করেছেন বলে জানান জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আপনার কামনার সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, জাসদের এক হাতে সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা, আরেক হাতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঝান্ডা। আছি আপনার সঙ্গে। আছি ১৪ দলে। আছি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে।’

এর আগে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, ওবায়দুল কাদের তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি কী বলেছি? তিনি (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) বলছেন, শিষ্টাচারবহির্ভূত। আমরা খবর পেয়েছি দুবাই থেকে টাকা আসে। টাকা উড়ে আসতেছে। টাকার বস্তার ওপর তিনি (মির্জা ফখরুল) বসে আছেন, এটা কি ব্যক্তিগত? আমি তাঁকে আক্রমণ করলাম, তিনি তো একটা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। আমরা রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আক্রমণ করেছি, সেটা আসলে তাঁর ক্ষোভের কারণ নয়। উনার মনটা বড় খারাপ। রংপুর (সমাবেশ) থেকে ঢাকার (আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলন) খবর পেয়েই তাঁর মন খারাপ। বড় বিষণ্ন। তাঁর অন্তরে অনেক জ্বালা।’

রংপুরের বিভাগীয় সম্মেলন থেকে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বেশি লোক হয়েছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নাকি ২২ হাজার চেয়ার ছিল। চ্যালেঞ্জ করছি, ৭০ হাজার চেয়ার সেখানে ছিল। মিথ্যা কথা বলবেন না। নিজেরা কয়েকটা সমাবেশ করেই লাফালাফি শুরু করেছে। এখন মুখ কালা কেন? মোকাবিলার ভয়ে মুখ কালা। মির্জা ফখরুলের দিকে তাকানো যায় না।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘বিভিন্ন বিভাগে সমাবেশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি দিন ধার্য করুন। দেখা যাক, তারা কোথায় দাঁড়াতে পারে। আমরা ১৪ দলকে ধরে রাখতে চাই। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ধরে রাখতে চাই।’গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আজকে ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্র ভেঙে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য সবাইকে আহ্বান জানাই।’

হাসানুল হক বলেন, ২০২৩ সাল মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির বিজয় অর্জন করার যুদ্ধ। নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত বন্ধ করার যুদ্ধ। আর অর্থনৈতিক সংকট সমাধান করার যুদ্ধ। এই তিন যুদ্ধ মোকাবিলা করতে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির সবাইকে কঠিন ঐক্যের মধ্যে থাকতে হবে।

সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমস্ত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বাংলার জনগণকে সোনার বাংলার দিকে নিয়ে যাব।’জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ঐক্য অটুট আছে। এটা অটুট থাকবে। আপনারা কাউয়া থামান।’

এ সময় আরও বক্তব্য দেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নাট্যজন নাদের চৌধুরী।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button