ঢাকাবাংলাদেশবিএনপিরাজধানীরাজনীতি

মেশিনে নয়, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে

বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এই সরকারকে হটে যেতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। মেশিনে নয়, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে এ দেশে পরবর্তী সরকার হবে খালেদা জিয়ার সরকার, তারেক রহমানের সরকার।

এই সরকার গায়ের জোরে প্রতিষ্ঠিত, এমন মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রাতে ভোট ডাকাতি করে যারা সরকারে এসেছে, ভোট ছাড়া পার্লামেন্ট গঠন করে যারা সরকারে আছে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। শুধু তাই নয়, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালে যখন এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল, তখন গণতন্ত্র হত্যা করে তারা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। আবার এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকার জন্য গণতন্ত্রকে সর্বত্র ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার নেই।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কথা বলেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে দায়ের করা একটি মামলায় গতকাল আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে এ সরকারের দেউলিয়াত্ব প্রমাণিত হয়েছে। তারেক রহমানের প্রতি কেন এত রাগ, তাঁকে এত ভয় কেন, এমন প্রশ্ন তুলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘একটাই কারণ, তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।

তিনি এ দেশে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে, দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায়, অর্থনীতি মেরামত করার সংগ্রামে বিএনপি তথা বাংলাদেশের জনগণকে নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাই তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আজকে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। এই আওয়ামী লীগ সরকার পুরো জিয়া পরিবারকেই ভয় পায়।’

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে যখন সারা দেশের মানুষ ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্দোলন করছে, তখন গায়ের জোরের সরকার ভয়ে আতঙ্কিত। সে কারণে বিএনপির সমাবেশগুলোকে দুর্বল করার জন্য সরকার অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করে, পরিবহন ধর্মঘট সৃষ্টি করছে।

কিন্তু সব জায়গায় স্মরণকালে সর্ববৃহৎ সমাবেশ হয়েছে। সামনেও যত বাধাবিপত্তি সৃষ্টি করা হোক না কেন, সব সমাবেশই সফল হবে। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি, বিদেশে টাকা পাচার করে অর্থনীতি ধ্বংসের অভিযোগ করেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমাদের সামনে একটাই টার্গেট, এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে হবে। এর ফয়সালা হবে রাজপথে। খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া গণতন্ত্র মুক্তি পাবে না। তাই গণ–আন্দোলন করে এই সরকারকে আমরা বিদায় করব।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘৫ নভেম্বর বরিশালে বিএনপির বড় সমাবেশ। মেয়র তাপস (ফজলে নূর তাপস) সাহেব বলেছেন, ওখানে আমার মামাতো ভাই-ই যথেষ্ট বিএনপির জনসমাবেশ ঠেকাতে। আমি তাপস সাহেবকে বলি যে তাপস সাহেব, আপনি ব্যারিস্টারি পাস করে এসেছেন।

কিন্তু আপনার কথা শুনলে মনে হয় কোনো গুন্ডার কথা, সন্ত্রাসীর কথা। আপনার মামাতো ভাই বরিশালের মেয়র। উনি গুন্ডা না, পান্ডা যে উনি বিএনপির একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ঠেকিয়ে দেবেন। আমার একটা কথা, এই শেখ পরিবারে কি একটা ভদ্রলোকও নেই?’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম প্রমুখ।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button