রাজধানীতে পৃথক স্থানে ব্যবসায়ীসহ তিনজন অজ্ঞানপার্টির কবলে

রাজধানীতে পৃথক স্থানে ব্যবসায়ীসহ তিনজন অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়েছেন। তারা হলেন—নাসির উদ্দিন (৪৫), মাহবুবুর রহমান (৫০) ও জিপু (৪৮)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় নাসির ও মাহবুবকে পল্টন থেকে এবং দুপুরে পল্লবী থেকে জিপুকে (৪৮) উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।

দুপুরে মিরপুর পল্লবীতে চলন্ত বাসের ভেতর অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েন জিপু (৪৮) নামে এক গার্মেন্টসকর্মী। তাকেও ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে আসা সহকর্মী আজমল হক বলেন, ‘জিপু পল্লবীতে একটি গার্মেন্টসের কোয়ালিটি ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করেন।

দুপুরে উত্তরা থেকে প্রজাপতি পরিবহনে পল্লবীতে আসার সময় বাসের মধ্যে অজ্ঞানপার্টির সব পড়ে। পরে আমরা খবর পেয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। তার কাছে একটি মোবাইল পাওয়া গেছে। তবে কোনো টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি।’

নাসিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যবসায়ী সহকর্মী মো. আলহাজ জানান, নাসির উদ্দিনের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলায়। পেঁয়াজ ব্যবসা করেন তারা। ব্যবসায়িক কাজে আজকে গ্রাম থেকে তিনি ঢাকায় আসেন। এরপর বিকেলে তার মোবাইল ফোন থেকে খবর পান, বাসের ভেতরে অজ্ঞানপার্টির কবলে পড়েছেন নাসির। পরে তাকে পল্টন পুলিশ বক্সের সামনে থেকে হাসপাতালে নিয়ে যান। তার কাছ থেকে আনুমানিক ৪০ হাজার টাকা খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করেন।

আরেক ভুক্তভোগী মাহবুবুর রহমানের চাচাতো ভাই মাহমুদুল হাসান জানান, তাদের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায়। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মেঘনাঘাট এলাকায় থাকেন। একটি পেপার মিলে চাকরি করেন তিনি। আজকে গ্রাম থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জে তার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। বিকেলে তার ফোন থেকে তারা খবর পান পল্টনে অচেতন অবস্থায় পরে আছে মাহবুব। পরে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তবে তার কাছ থেকে কি খোয়া গেছে তা জানা যায়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, তিনজনকে হাসপাতালে আনার পর স্টমাক ওয়াশ করানো হয়। পরে তাদেরকে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। তাদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা খোয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাগুলো সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

Exit mobile version