আইনশৃঙ্খলা বাহিনীএক্সক্লুসিভফরিদপুরবাংলাদেশবিএনপিরাজনীতি

তাঁকে নিতে হলে কবরস্থান থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে হবে,তিনি বেঁচে নেই

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। এ অভিযান থেকে বাদ যায়নি ১২ বছর আগে প্রয়াত ওই বিএনপি নেতার বাড়িও।বাচ্চু মিয়া আলী ফরিদপুর শহর বিএনপির সভাপতি ছিলেন।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল বলেন, পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। তিনি দাবি করেন, বাচ্চু মিয়া নয়, তাঁর ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল।বাচ্চু মিয়ার ছেলে অপ্রাপ্তবয়স্ক জানালে ওসি বলেন, ‘তবে আদালত থেকে পাওয়া ওয়ারেন্টেও তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা ওয়ারেন্টটি যাচাই করে দেখছি।’

ফরিদপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনারও ছিলেন বাচ্চু মিয়া আলী। বিএনপির এই নেতা প্রয়াত হয়েছেন এক যুগ আগে। অথচ তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লা এলাকার মিয়াপাড়া সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাচ্চু মিয়া আলীর স্ত্রী মৌসুমী আলী বলেন, পুলিশের দুই সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকেন। তাঁরা বলেন, ‘আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলুন, বাচ্চু মিয়া আলীকে ডাকেন। আমরা ওনাকে নিতে এসেছি।’

তখন মৌসুমী আলী বলেন, ‘তাঁকে (বাচ্চু মিয়া) নিতে হলে কবরস্থান থেকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বেঁচে নেই।’ তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘দরজা না খুললে কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি।’ তখন মৌসুমী আলী বলেন, ‘রাতে দরজা খোলা যাবে না। আপনারা অপেক্ষা করেন, সকালে দরজা খুলব।’মৌসুমী আলী জানান, বুধবার সকালে তিনি থানায় গিয়ে এক যুগ আগে মারা যাওয়া বাচ্চু মিয়া আলীর মৃত্যুসনদ জমা দেন।

Flowers in Chaniaগুগল নিউজ-এ বাংলা ম্যাগাজিনের সর্বশেষ খবর পেতে ফলো করুন।ক্লিক করুন এখানে

Related Articles

Back to top button